রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল চিত্র
অবশেষে পূরণ হতে চলেছে দীর্ঘদিনের চাহিদা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হতে চলেছে এমআরআই পরিষেবা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো পিপিপি মডেলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু হবে। এমআরআই পরিষেবা চালুর জন্য হাপাতালের ভিতরে জায়গা চিহ্নিত করে সেই জায়গার পরিমাপ স্বাস্থ্য ভবনেও পাঠিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সেই জায়গা স্বাস্থ্য ভবন থেকে আধিকারিকরা একপ্রস্থ পরিদর্শনও করে গিয়েছেন। জায়গা পূর্ত দফতর ঠিক করে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর পরে স্বাস্থ্য ভবনের নিযুক্ত এজেন্সি এমআরআই পরিষেবা চালু করার কাজ শুরু করবে।
রামপুরহাটে এই পরিষেবার দাবি দীর্ঘদিনের। মেডিক্যাল কলেজ আগে বা রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হওয়ার আগেই রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল থাকাকালীন এলাকাবাসী হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বাসিন্দারা জানান, হাসপাতালের পাশ দিয়ে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। এ ছাড়া রামপুরহাট দুমকা সড়কও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পড়ছে। এই দুই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ ছাড়াও রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই এই তিন জায়গায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া, রদিপুর, পাখুড়িয়া, মহেষপুর, পাকুড় এই সমস্ত এলাকায় পাথর শিল্পাঞ্চল আছে। সড়ক ও পাথর শিল্পাঞ্চল— দুই ক্ষেত্রেরই দুর্ঘটনাগ্রস্তদের এম আর আই করার প্রয়োজনে আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠাতে হত। অনেক ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান পৌঁছনোর আগে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটার ফলে রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হত। রামপুরহাট মেডিক্যালে এমআরআই পরিষেবা চালু হলে রোগীদের হয়রান বা প্রাণহানির ঝুঁকি অনেকটা কমবে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি জানান, এমআরআই পরিষেবা চালু করার জন্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জায়গা খোঁজার ব্যাপারে নির্দেশ দেন। সেই মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জায়গা খোঁজা শুরু করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের বর্হিবিভাগে যেখানে পিপিপি মডেলে সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা চালু আছে সেখানে ১০০০ বর্গফুটের জায়গা দেখা হয়। সেই জায়গা চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়।
এমএসভিপি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা ওই জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন ও ওই জায়গায় এমআরআই পরিষেবা চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে পূর্ত দফতর পরিষেবা চালু করার জন্য ভবনের পরিকাঠামোর কিছু উন্নতি করবে। পরে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দিষ্ট সংস্থা কাজ শুরু করবে।’’ এমআরআই চালু হলে রামপুরহাট মেডিক্যালে ট্রমা কেয়ার সেন্টার চালু করা হবেও বলেও দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।