—প্রতীকী চিত্র।
আবার বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বাঁকুড়ায়। এ বার চার বছরের শিশু-সহ এক মা প্রাণ হারালেন। শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ সিমলাপাল থানার আঁধারিয়া গ্রাম। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মণীষা মুর্মু (২৩) এবং অর্জুন মুর্মু (৪)। পুলিশ মা-ছেলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে গৃহস্থালীর কাজ সেরে সন্তানকে নিয়ে গ্রামের একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন মণীষা। তাঁরা যখন স্নান করছিলেন, তখন মুশলধারে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বজ্রপাত। পুকুর পাড়ে ছেলেকে নিয়ে উঠে এসেছিলেন মণীষা। কিন্তু বজ্রাঘাতে পুকুরের জলে ছিটকে পড়েন মা ও ছেলে। পরে স্থানীয় কয়েক জন মহিলা পুকুরে স্নান করতে গিয়ে দেখেন মণীষার শাড়ি ভাসছে জলে। তাঁরা খোঁজখবর করে ওই বধূকে কোথাও দেখতে না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে সিমলাপাল থানার পুলিশ।
বেশ কিছু ক্ষণ পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুকুর থেকে মণীষা ও তাঁর শিশুসন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্পর্কে মৃতার দেওর মিহিলাল মুর্মু বলেন, ‘‘বেলা ১টা নাগাদ বৌদি ভাইপোকে নিয়ে স্নান করতে গিয়েছিলেন পুকুরে। সে সময় হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে বাজ পড়ছিল। বৌদি স্নানে যাওয়ার মিনিট দশ পরই গ্রামের কয়েকজন মহিলা ওই পুকুরে স্নান করতে গিয়ে দেখতে পান শাড়ি ভাসছে। তাঁদের ধারণা ছিল, বৌদি স্নান করে চলে এসেছেন। একটা শাড়ি হয়তো ভুলে ছেড়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও বৌদিকে দেখতে না পেয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। আসলে বজ্রাঘাতে সন্তান-সহ পুকুরের জলে ছিটকে পড়েন তিনি। পরে আমরা তাঁদের জলের উপরে তুলে এনে দেখি দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে।’’
এই ঘটনা নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’