এই ব্যাঙ্কই খোলায় বেধেছে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরের দিনই দিব্য খোলা হল ব্যাঙ্ক। তাও আবার স্যানিটাইজ় না করেই। সেখানে এলেন গ্রাহকেরা। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসতে তড়িঘড়ি বন্ধ করা হয় মুরারইয়ের ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক।
এ দিন সকাল দশটা নাগাদ ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা গেল, অন্তত পনেরো-কুড়ি জন নানা কাজে সেখানে এসেছেন। দিব্য চলছে কাজ। কেন এমন হল? অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধের নির্দেশ না আসায় তেমনটা করা হয়নি। এ দিকে, ব্যাঙ্কের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ম্যানেজার করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দেওয়ার পরেও ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেটা জানার পরে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাহকদের মধ্যেও।
এ দিকে, ব্যাঙ্কের পাঁচ জন কর্মী এ দিন সকালেই মুরারই হাসপাতালে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। ব্যাঙ্কের সহ ম্যানেজার নিখিলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ আসার পরে দুপুর একটার সময় ব্যাঙ্ক বন্ধ করা হয়েছে।’’ বিডিও (মুরারই ১) নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক খোলা জানার পরেই বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কর্মী ও গ্রাহকদের লালারসের নমুনা রিপোর্ট এলে ব্যাঙ্ক খোলা হবে।’’