দিনভর: শুক্রবার রাতে বিষ্ণুুপুরে অধিবেশন হয়নি। শিবিরের পাহারায় পুলিশ। ছবি: শুভ্র মিত্র
প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন তিনি, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই সোমবার বাঁকুড়ায় ফিরে নতুন উৎসাহে থমকে যাওয়া ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচি শুরু করবেন। তা সত্ত্বেও নিজাম প্যালেসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে শনিবার দিনভর উৎকণ্ঠায় কাটালেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। অভিষেকের খবরের দিকেই তাঁদের নজর রইল।
কর্মীদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য দেখা করে, ফোন করে নেতারা ভরসা জোগান। তবে অধিকাংশেরই চোখ ছিল মোবাইলে বা টিভি-র খবরে। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিষেক বলে গিয়েছেন, শুক্রবার যেখানে কর্মসূচি শেষ হয়েছে, সোমবার সেখান থেকেই ফের শুরু হবে। কর্মীদের আমি ফোন করে বলেছি, কেউ যেন হতাশ না হয়।’’
শুক্রবার বিষ্ণুপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি সেরে শনিবার অভিষেক বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের একাংশে যেতে পারেন বলে দল সূত্রে খবর ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের তলব পেয়ে শুক্রবার বিকেলে সোনামুখীতে পথসভা সেরেই কলকাতায় ফেরেন তিনি। তাঁর বদলে পাত্রসায়রে ভার্চুয়াল সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে বিষ্ণুপুরে দলের অধিবেশন ও পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের ভোটাভুটিও আর হয়নি। এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁবু ঘিরে পুলিশের কড়া পাহারা। ওই অধিবেশনে কর্মীদের নিয়ে যেতে গাড়ি ‘বুক’ করে রেখেছিলেন অলকও। ভাড়া বাতিল হওয়ায় গাড়ি চালকদের আংশিক ভাড়া মেটাচ্ছিলেন তিনি। তবে সর্বক্ষণ চোখ ছিল দলীয় কর্মীর মোবাইলের খবরে। দুপুরে বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, কর্মীদের চোখ টিভি-র খবরের চ্যানেলে। তৃণমূলের দ্বারিকা অঞ্চল সভাপতি অজয় রায়, কর্মী শম্পা নাগ, তাপস গোস্বামীরা বলেন, ‘‘হঠাৎ কর্মসূচি বন্ধ রেখে দাদা ফিরে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে দু’দিন পরে কর্মসূচি শুরু হলে ভালই হবে। ধানকাটার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবে। আরও বেশি মানুষকে পাওয়া যাবে।’’
এ দিন সিমলাপালে সভা করার কথা ছিল অভিষেকের। সেই সভামঞ্চ পরিদর্শনে গিয়েও নিজাম প্যালেসের খবর নিচ্ছিলেন দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘সিমলাপালের সভামঞ্চ আমরা খুলব না। আমরা অভিষেকেরঅপেক্ষায় রয়েছি।’’