কঙ্কালীতলার মা কালী। নিজস্ব চিত্র।
কালীপুজো ভিন্ন মাত্রা পায় কঙ্কালীতলায়। কঙ্কালীতলায় দেবীসতী পূজিত হন দক্ষিণা কালীরূপে। সেই দক্ষিণা কালীর পুজোয় এ বার করোনার ছায়া। এবং, তা রুখতে অভিনব পদক্ষেপ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। কঙ্কালীতলা মন্দিরে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার মেশিন। যেহেতু কঙ্কালীতলা সংলগ্ন গ্রাম এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত পুজো দিতে আসেন, তাই সেই ভক্তদের জন্য মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। এ বছর সতীর শেষপীঠ কঙ্কালীতলায় করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে শুরু হয়েছে বিশেষ পূজা অর্চনাও।
সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম শেষ পিঠ কঙ্কালীতলা। কথিত আছে, সত্যযুগে সতীর খণ্ড খণ্ড দেহাংশের মধ্যে কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁকাল বা কাঁখ পড়েছিল। আগে এই কঙ্কালীতলার নাম ছিল কাঞ্চিদেশ। পরবর্তী সময়ে এই স্থানের নাম হয় কঙ্কালীতলা। এখানকার ভৈরব হলেন রুরু ভৈরব। কালীপুজোর দিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে কঙ্কালীতলা ভক্তদের ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত সমাগম হয়েছে। যে সমস্ত ভক্ত মাস্ক পরে আসেননি, তাঁদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মন্দিরের সেবাইত বুদ্ধদেব ঠাকুর বলেন, ‘‘আমদের এই মায়ের মন্দিরে কোনও মাটির মূর্তি নেই, রয়েছে মায়ের প্রতিকৃতি। সেই কারণে এখানে মা-কে মাটির মূর্তির মতো পূজো করা হয় না। সকাল থেকেই আমাদের নিয়ম বিধি মেনে পূজা শুরু হয়েছে৷ আজকের দিনে মায়ের বিশেষ অন্নভোগ হচ্ছে। এ ছাড়া, বিশ্ব শান্তির জন্য রাত্রে একটি মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।’’ কালীপূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে প্রশাসনিক তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো।