—ফাইল চিত্র।
বিগত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে সম্পূর্ণই বদলে গিয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা। বসন্ত উৎসবে সেই ছবি যেন আরও প্রকট। সারা রাজ্য যখন রঙ-উৎসবের উদ্যাপনে মেতেছে, তখন আরও বেরঙিন শোকস্তব্ধ কান্দু পরিবার। দোষীদের শাস্তি ছাড়া এই মূহূর্তে আর কিছুই ভাবতে চাইছেন না গুলিতে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।
গত রবিবার সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে রাস্তায় খুন হয়েছিলেন তপন। তার পর থেকেই প্রাচীন এই শহরের চেহারা অনেকটা পাল্টে গিয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই ঝাঁপ পড়ে যাচ্ছে দোকানপাটের। সুনসান রাস্তায় পুলিশের নজরদারি চলছে। দোলের আগের দিনেও এই ছবিই দেখা গিয়েছে। বসন্ত উৎসব নিয়ে উচ্ছ্বাস তো দূরের কথা, ঘটনার পর চার দিন কেটে গেলেও আতঙ্কের রেশ কাটেনি ঝালদায়।
দোলের দিনে গলা ভারি হয়ে এসেছে পূর্ণিমার। গত বছর স্বামীর সঙ্গে দোল খেলার স্মৃতিরোমন্থন করতে করতে তিনি বললেন, ‘‘আমার আর আনন্দ বলতে কী বাকি থাকল বলুন? দোষীদের শাস্তি ছাড়া আমার আর অন্য কিছু নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই।’’
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, কাউন্সিলরকে যারা খুন করেছে তারা সুপারি কিলার। অন্য কোনও রাজ্য থেকে তাদের ভাড়া করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বারের পুরভোটে কাকা তপন কান্দুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন দীপক। কিন্তু কাকার বিরুদ্ধে হেরে যান তিনি। এ ছাড়া এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে খুনির স্কেচ করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান। তপন খুনে রাজ্য সরকার ছ’সদস্যের সিট গঠন করেছে। যদিও এতে খুশি নন পূর্ণিমা। সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় তিনি।