‘নিজশ্রী’ প্রকল্পের জমি দেখতে প্রশাসন ও পুরসভার কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।
‘নিজশ্রী’ প্রকল্পে দ্রুত কাজ শুরু করতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। বুধবার বিষ্ণুপুরের গোপেশ্বরপল্লির হাউজ়িংয়ের ভিতরে জায়গা নির্বাচনের পাশাপাশি, ‘নিজশ্রী’ প্রকল্পের বাড়ি তৈরির প্রাথমিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আবাসন উন্নয়ন কর্পোরেশনের বাঁকুড়া ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অমলকুমার বিশ্বাস বলেন, “নিজশ্রী প্রকল্পে বারবার বিজ্ঞাপন দিয়েও সে ভাবে আবেদন জমা পড়েনি। এ মুহূর্তে মধ্যম আয়ের গ্রুপে (‘এমআইজি’) আবেদন জমা পড়েছে ৩৪টি। আর স্বল্প আয়ের গ্রুপে (‘এলআইজি’) কোনও আবেদন জমা পড়েনি।’’
কারা ‘নিজশ্রী’ প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন? অমলবাবু বলেন, “সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, আবেদনকারী বা তাঁর পরিবারের কারও পাকা বাড়ি থাকা চলবে না। জেলার বাসিন্দা হতে হবে। ‘স্বল্প আয়ের গ্রুপ’-এর ক্ষেত্রে পরিবারের মাসিক আয় ১৫ হাজার ও ‘মধ্যম আয়ের গ্রুপ’-এর ক্ষেত্রে তা ৩০ হাজারের বেশি হওয়া যাবে না। ‘ওয়ান বিএইচকে’ ফ্ল্যাটের (৩৭৮ বর্গফুট মাপের) দাম হবে সাত লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আর ‘টু বিএইচকে’ ফ্ল্যাটের (৫৫৯ বর্গফুট মাপের) দাম হবে ন’লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।’’ তিনি আরও জানান, প্রকল্পের অধীনে চার একর জায়গা জুড়ে চারতলা ভবন তৈরি করা হবে। প্রতি ব্লকে ১৬টি করে ফ্ল্যাট থাকবে।
আবাসন দফতরের কর্মীরা ছাড়াও, এ দিন পরিদর্শনে ছিলেন মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত, বিষ্ণুপুরের পুর-প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, স্যানিটারি ইনস্পেক্টর তুহিনশুভ্র কুণ্ডু প্রমুখ। মহকুমাশাসক বলেন, “৩৪ জন আবেদনকারী মধ্যম আয়ের গ্রুপে (‘এমআইজি’) আবেদন জমা দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে দু’টি ব্লকে ৩২টি ফ্ল্যাটের জন্য ৩২ জনের আবেদন গৃহীত হবে। দ্রুত লটারির মাধ্যমে ৩২ জনকে বেছে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে, আবার বিজ্ঞপ্তি বেরোলে আবেদন নেওয়া হবে।” পাশাপাশি, এত দিন গোপেশ্বরপল্লির হাউজ়িংয়ের ভিতরে শিশুদের পার্ক বা বয়স্কদের বসার কোনও জায়গা ছিল না। এ দিন পার্কের জায়গা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।