স্কুলে ঘুমনোর অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শো-কজ) নোটিস দেওয়া হল ইঁদপুর ব্লকের এক প্রাইমারি শিক্ষককে। অভিযোগ ছিল, প্রায়ই স্কুলে এসে ঘুমোন ওই শিক্ষক। তাঁর ঘুমনোর ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আনন্দবাজার সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
অভিযোগ, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সোমবার স্কুলে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রতিনিধি দল। তবে তদন্তের প্রয়োজন হয়নি। স্কুলে ঢুকে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের চোখে পড়ে, চেয়ারে পা তুলে ঘুমোচ্ছেন শিক্ষক।
ঘটনাটি ইঁদপুরের গৌরবাজার পঞ্চায়েতের একটি স্কুলে। প্রশাসন সূত্রের খবর, শো-কজ করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। প্রতিনিধি দলের কাছে তিনি জানিয়েছেন, রাত জেগে অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করতে হয়। স্কুলে আসার পরে চোখ জুড়ে আসে।
ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ -সভাপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা স্কুলে পৌঁছে দেখি ওই শিক্ষক চেয়ারে পা তুলে ঘুমোচ্ছেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর মা অসুস্থ। সারারাত মায়ের দেখাশোনা করায় রাতে ঘুম হয়নি। তাই তিনি এ দিন স্কুলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।’’
ঘুমনোর কথা অস্বীকার করেননি ওই শিক্ষক। তিনি দাবি করেন, ‘‘দিন রাত অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করতে হয়। ভেবেছিলাম সোমবার স্কুলে যাব না। ছুটি নেব। কিন্তু একমাত্র সহ শিক্ষক ছুটি নিয়েছিলেন। না গেলে স্কুল বন্ধ হয়ে যেত। সারা রাত জেগে ছিলাম বলে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’’
ঘটনার কথা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিডিও (ইঁদপুর) মণীশ নন্দী এবং অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পার্থসারথি পাত্রকে। তাঁরা জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি এসেছে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। সব জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।