বিধায়কের রাইস মিলে অব্যাহত আয়কর দফতরের তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষের রাইস মিলে তল্লাশি অব্যাহত আয়কর দফতরের। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা তন্ময়ের রাইস মিলে তল্লাশিতে ঢোকেন। তার পর থেকে তল্লাশি চলছেই, থামার নাম নেই।
বুধবারই বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ি, অফিস, মদের দোকান এবং রাইস মিলে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া চূড়ামণিপুরে তন্ময়ের একটি রাইস মিলে ঢোকেন আয়কর দফতরের পাঁচ আধিকারিক। তার পর থেকে তাঁরা আর বেরোননি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রেখেছে রাইস মিল। ভিতরে চলছে তল্লাশি প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, রাইস মিলে লেনদেনের সমস্ত রকম নথি খতিয়ে দেখছেন আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা। নথি নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে তা রাইস মিলের কর্মীদের কাছেই জেনে নিচ্ছেন তাঁরা। প্রতিটি নথি খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে সময় লাগছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সা়ড়ে ৮টা নাগাদ নিজের রাইস মিলে আসেন বিধায়ক তন্ময়। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ তিনি রাইস মিল থেকে বেরিয়ে যান। তবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তিনি। ফলে তল্লাশি কখন শেষ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পেশায় ব্যবসায়ী তন্ময় ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছিলেন। ২০২০ সালের মে মাসে বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীতে আনা হয়। পাশাপাশি, ওই বছরই তন্ময়কে বিষ্ণুপুর শহরের যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় তিনি তৃণমূলের টিকিটের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় প্রার্থী করে অর্চিতা বিদকে। এর পরই বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। তিনি বিজেপির টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয় পান। কিন্তু এ বছরের অগস্টে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন।