Shantiniketan

‘চেনা ছন্দে’ শান্তিনিকেতন, সকালে বৈতালিক, প্রতীকী উপাসনার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ-বিদায় ‘উদ্‌যাপন’

বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ। বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। সে দিন সকালেই প্রতীকী উপাসনায় অংশ নিলেন আশ্রমিকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৪
Share:

প্রতীকী উপাসনায় অংশ নেওয়া প্রবীণ আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা। — নিজস্ব চিত্র।

উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক। বৃহস্পতিবারই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে কাজের প্রথম দিন সঞ্জয়ের। আর প্রথম দিনই পুরনো চিরচেনা ছবিও ফিরল শান্তিনিকেতনে। সাতসকালে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকরা বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে আশ্রম পরিক্রমা করেন। আয়োজন করা হয় প্রতীকী উপাসনারও।

Advertisement

বিদ্যুৎ-পর্ব অতীত। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাজের প্রথম দিনই মাঠে নামলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলা থেকে উপাসনাগৃহ পর্যন্ত বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে আশ্রম পরিক্রমা করেন। আয়োজন করা হয় একটি প্রতীকী উপাসনার। বৈতালিকে অংশ নেওয়া প্রবীণদের বক্তব্য, নতুন উপাচার্যের পাশাপাশি, শান্তিনিকেতনের চিরকালীন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াসের আরম্ভও প্রতীকী উপাসনার মধ্যে দিয়ে।

বৈতালিকে অংশ নেওয়া প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ রাবীন্দ্রিক পদ্ধতিতে ছাতিমতলায় প্রতীকী উপাসনা করা হল। শান্তিনিকেতনে আজ একটা নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। তাকে স্বাগত জানিয়ে আমরা প্রতীকী উপাসনায় অংশ নিলাম। একটা নতুন যুগকে আমরা আহ্বান করলাম। যে সময় পেরিয়ে এসেছি, তা নিয়ে এখন আলোচনা করার সময় নয়। পরে যথাসময়ে তা করা যাবে।’’

Advertisement

বৈতালিকে অংশ নেওয়া শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সভাপতি অনিল কোনার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রছাত্রীরা রাহুমুক্ত হয়েছে। তাই বৈতালিক হল। প্রতীকী উপাসনাতেও অংশ নিয়েছি। তিনি তো কোনও ভাল কাজ করেননি। যা করেছেন শুধু মানুষের প্রতি অত্যাচার। এ রকম কোনও উপাচার্য করেননি।’’

বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী নুরুল হকের বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারতাম না। এমনকি আমরা মন্দিরকেও এড়িয়ে চলতাম। সেই অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে। তাই গান এবং মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে আমরা প্রতীকী উদ্‌যাপন করলাম। শান্তিনিকেতন আবার পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা একজোট হয়ে নেমেছি।’’

বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিনিকেতনে আবার পথে নামার কথা প্রাক্তনী, আশ্রমিক এবং বহু সাধারণ মানুষের। তার আগে চিরাচরিত রীতি মেনে বৈতালিক এবং প্রতীকী উপাসনার মধ্যে দিয়ে গুরুদেবের শান্তিনিকেতনকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হল। এমনটাই মনে করছেন বৈতালিকে অংশ নেওয়া প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement