নথিপত্র পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র
নিয়ম মেনে না যে পুলকারগুলি স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করছে, সেগুলি চিহ্নিত করতে পথে নামল বাঁকুড়া জেলা পরিবহণ দফতর। সোমবার বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি স্কুলে পুলকার পরিদর্শনে যান দফতরের আধিকারিকেরা। প্রথম দিনই বেশ কয়েকটি অবৈধ পুলকার চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে গাড়ি মালিকদের।
হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনা স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তার সামনে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পরেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে ‘অবৈধ’ পুলকার চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দিন বাঁকুড়ায় শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। দুপুরে স্কুল ছুটির সময় বাঁকুড়া পরিবহণ দফতরের ‘নন টেকনিক্যাল ইনস্পেক্টর’ শুভ্র জুঁই এবং অর্ণব চট্টোপাধ্যায় পোয়াবাগান এলাকার ওই বেসরকারি স্কুলে যান। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ভাড়া করা ১০টি পুলকারের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, ওই ১০টির গাড়ির মধ্যে পাঁচটির বাণিজ্যিক পারমিটই নেই। ওই গাড়িগুলি অবৈধ ভাবে ভাড়া খাটানো হচ্ছে। বাকি পাঁচটি গাড়ির বাণিজ্যিক পারমিট থাকলেও তাদের বেশির ভাগেরই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস বা সিএফ) করা হয় না। সেই গাড়িগুলিতে গতিনিয়ন্ত্রক যন্ত্রও বসানো নেই। ফলে, ওই গাড়িগুলিতে যাতায়াত কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “অবৈধ ভাবে চলা পুলকারগুলির মালিকদের সাত দিনের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক করিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই গাড়িগুলিতে যাতায়াত নিরাপদ নয়। স্কুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ওই বার্তা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, যে সমস্ত স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না, সেই স্কুলগুলিতেই পুলকার পরিদর্শনে যাওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হলে গোটা জেলায় একযোগে সেই কাজ হবে।
এ দিন ওন্দার বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ এবং পুলকার চালকদের নিয়ে বৈঠক করে ওন্দা থানার পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন ওসি (ওন্দা) রামনারায়ণ পাল-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। সূত্রের খবর, পথ নিরাপত্তা, গাড়ির নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো, চক্ষু পরীক্ষার মতো বিষয়গুলির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পুলকার চালকদের সচেতন করা হয়। নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় পুলিশ। পুলকারগুলির উপরে নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে।