বাঁ দিকে ভেঙে পড়া ঘণ্টা, ডান দিকে নতুন নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হল বছরখানেক আগে ভেঙে পড়া ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টাতলার। সম্প্রতি বিশ্বভারতী পরিদর্শনে আসে পুরাতত্ত্ব বিভাগের একটি দল। তাদের অধীনেই ওই পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত ওই জায়গার সংরক্ষণ না করে এমন ভাবে পুনর্নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তনীরা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীতে আসেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই সংস্কার করা হচ্ছে পুরনো ভাস্কর্যগুলির। এ জন্য অনুমোদন করা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। সেই মতো ঘণ্টাতলার ভেঙে যাওয়া অংশ সরিয়ে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই নির্মাণ কাজ কিছুটা এগিয়েও গিয়েছে। ১৯১৯ সালে ঐতিহ্যবাহী পুরনো ওই ঘণ্টাতলাটি তৈরি করা হয়েছিল সারনাথের বৌদ্ধ স্থাপত্যের আদলে। এক সময় এই ঘণ্টাতলায় পড়াতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। এই ঘণ্টার মাধ্যমেই ছুটির বাজনা বাজত শান্তিনিকেতনে।
আশ্রমিকদের দাবি, এই ঘণ্টাতলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কবিগুরুর প্রিয় ছাত্রী রাণু অধিকারীর নাম। তাঁর স্কলারশিপের টাকা থেকেই তৈরি করা হয়েছিল এই ঘণ্টাতলা। এক সময় এই ঘণ্টাতলার নীচে ক্লাস নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। গত বছর ২৬ অগস্ট ভূমিকম্পে শতাব্দী প্রাচীন একটি বট গাছ ভেঙে পড়ে ঘণ্টাতলার উপর। তার পর থেকে ঘণ্টাতলা ওই অবস্থাতেই পড়েছিল। প্রবীণ আশ্রমিক অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলছেন, ‘‘এটা আশ্রমের কাছে বিশেষ ভাবে সংরক্ষণের জিনিস। যাঁরা দায়িত্বে, তাঁরা যদি এটা করতে পারতেন তা হলে সবচেয়ে ভাল হত। আমাদের দাবি, ওই ভিতের উপরেই যেন আগের মতো ঘণ্টাতলা তৈরি হয়। ওই জায়গার সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’’