প্রতীকী ছবি।
রোগীদের পুষ্টিকর খাবার জোগাতে এ বার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অব্যবহৃত জমিতেই ফল-সব্জির চাষ শুরু হয়েছে। বীরভূমের পাইকর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পড়ে থাকা জমিতে বাগান গড়ে লাগানো হয়েছে ঔষধির গাছগাছড়া। এমনকি, বাগানের মাঝে খাল কেটে চলছে মাছ চাষও। সোমবার এই বাগানের উদ্বোধন করেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মুরারই ২ নম্বর ব্লকের বিডিও মহম্মদ নাজির হোসেনের উদ্যোগে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অব্যবহৃত জমিকে এ ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। মূলত, সবুজায়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের অনুকরণেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে সবুজায়নের জন্য অব্যবহৃত জায়গা, পতিত ও বন্ধুর জমি সংস্কার করে বাগান গড়ে তুলতে হবে। পাইকর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাগানটি ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত না হলেও এটা তারই নামান্তর বলে দাবি প্রশাসনের। সোমবার এই বাগানের উদ্বোধন করে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম যে ১০০ দিনের কাজে অব্যবহৃত জমি সংস্কার করে সবুজায়ন গড়ে তুলতে হবে। প্রথম পর্যায়ে এখানকার ৫ বিঘা জমিতে আমরা বাগান তৈরি করলাম। এখানে যে সব্জি বা ফলমূল হবে, তা রোগীদের খাবার রান্নার কাজে আসবে। এটি মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের নামান্তর।’’
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমিতে বাগান গড়তে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও মহম্মদ নাজির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই জায়গা পতিত হয়ে পড়েছিল। সে জমির আগাছা কেটে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাতে সব্জি ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে ১২ লক্ষ টাকার গাছ কেনা হয়েছে। বাগানে ১০ রকম সব্জি, ১৭ রকম ফলের গাছ এবং ঔষধির জন্য গাছগাছড়া রয়েছে ৭ রকমের। এ ছাড়া, বাগানের মাঝে মাঝে খাল কেটে মাছ চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সব্জি তোলা শুরু হয়েছে। সোমবার জেলাশাসকের মাধ্যমে কিছু সব্জি তুলে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে।’’