গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্তের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস। ফাইল ছবি।
নথি-সহ শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে গিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করলেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের প্রধান করণিক সামশের আলি। ঘণ্টা দেড়েক সেখানে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, জমা দেওয়া নথি খতিয়ে দেখে গরু পাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল লতিফের একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে।
বৃহস্পতিবারই রতনকুঠিতে গিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বোলপুরের প্রোমোটার রানা সরকার। একই দিনে নথি নিয়ে রতনকুঠিতে ঢুকতে দেখা যায় সামশেরকেও।
সিবিআই সূত্রের খবর, সামশেরের জমা দেওয়া নথি খতিয়ে দেখে গরু পাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল লতিফের চল্লিশটিরও বেশি সম্পত্তির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি, নাজ মার্বেলের দোকানের পিছনে একটি বিরাট জমিরও সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, এই জমির মালিকানা রয়েছে গরু পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূল হক এবং আবদুল লতিফের নামে। সেই জমির বর্তমান বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকারও বেশি বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান তদন্তকারীদের। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টা দেড়েক পর রতনকুঠি থেকে বেরিয়ে যান সামশের।
আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির কাছে একটি হোম-স্টের নামে তৈরি অ্যাকাউন্ট কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হত। এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন সুব্রত বিশ্বাস নামে এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮-এর শেষ ত্রৈমাসিক থেকে ২০২২ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ওই ব্যাঙ্ককর্মীর হাতে ৫ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অনুব্রত। সুব্রত সেই টাকা অনুব্রতের পরিবারের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন বলেও দাবি সিবিআইয়ের।