প্রতীকী চিত্র।
গাছের ডাল থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের দেহ। মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার বোরো থানার পুলিশ টিপুডি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল থেকে রজনী মাণ্ডি (২৪) ও উমূল মান্ডির (৫) দেহ দু’টি উদ্ধার করে। তাঁদের বাড়ি ওই গ্রামেই। পরে এ দিন দুপুরে বিডিও (মানবাজার ২) তারাশঙ্কর প্রামাণিক দেহের সুরতহাল করেন। দু’টি দেহেই আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, মৃতার স্বামী রূপচাঁদ মাণ্ডি বাইরে শ্রমিকের কাজ করতেন। ‘লকডাউন’-এর পরে আর কাজে যাননি। পুলিশের দাবি, টিপুডিরই বাসিন্দা রূপচাঁদ তাঁদের জানিয়েছেন, ওই পঞ্চায়েতের ঝোড়বাইদ গ্রামের বাসিন্দা রজনীর সঙ্গে বছর ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফিরে এসে শোনেন, দুপুরের পরে থেকে স্ত্রী ও ছেলের খোঁজ মিলছে না।
রূপচাঁদের কথায়, ‘‘কিলোমিটার চারেক দূরেই শ্বশুরবাড়ি। রাতেই সেখানে যাই। গিয়ে জানতে পারি, ছেলে নিয়ে রজনী ওখানেও যায়নি। সবাই মিলে রাতে খোঁজ চালাই। মঙ্গলবার সকালে পড়শিদের কাছে শুনি, গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে স্ত্রী ও ছেলের দেহ ঝুলছে। রজনী কেন এমন করল, বুঝতে পারছি না।’’
মৃতার বাবা ললিতবরণ সোরেনও বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যাতেও মেয়ে ফোন করে পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর নিচ্ছিল। শ্বশুরবাড়িতে তেমন কিছু হলে জানাত। ওদের পরিবারে অশান্তি ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন এমন হল, বুঝতে পারছি না।’’
এ দিকে, এক পদস্থ পুলিশকর্তা জানান, মৃতার স্বামী-সহ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃতার দু’টি মোবাইল মিলেছে। তদন্তে ফোনের ‘কল লিস্ট’ কাজ আসবে। আপাতত দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।