crops

Crops: ধান, আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা বৃষ্টিতে

পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে কৃষকদের পরামর্শ দিতে প্রচার শুরু করেছে জেলা কৃষি দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩
Share:

ধানের বীজতলায় জমেছে জল। রবিবার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

ফের হাজির পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। তার জেরে বোরো ধান আর আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় জেলার বড় অংশের চাষিরা। পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে কৃষকদের পরামর্শ দিতে প্রচার শুরু করেছে জেলা কৃষি দফতর।

Advertisement

আলু ও বোরো ধানের চাষ জেলায় সব চেয়ে বেশি হয় বিষ্ণুপুর মহকুমায়। আলু চাষিদের বেশির ভাগ জানাচ্ছেন, জোলো আবহাওয়ায় শুধু জলদি চাষের পোখরাজ আলুই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর চাষও। পাত্রসায়রের এক চাষি রাম দুয়ারীর কথায়, “জলদি চাষের পোখরাজ আলুর সহনশীলতা কম। তাই মাঠ থেকে তুলেই বাজারে পাঠাতে হয়। হিমঘরে রাখা যায় না। কিন্তু আকাশের যা অবস্থা, অনেকে আলু তুলে মাঠেই খড় বা ত্রিপল দিয়ে ঢাকা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে আলু নষ্ট হওয়ার ভয় বাড়ছে।”

পাশাপাশি, অনেক আলু চাষির আশঙ্কা, বৃষ্টিতে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুতেও গোড়া ধসা রোগ ধরবে। আর তা হলে ফলন অনেকটাই কমতে পারে। ক্ষতির ভয় রয়েছে বোরো চাষেও। বিশেষত এমন আবহাওয়ায় বোরো ধানের বীজতলায় ধসা রোগ আসতে পারে বলে চাষিরা জানাচ্ছেন। ইন্দাসের বোরো চাষি তপন মণ্ডল, বড়জোড়ার মানোয়ার মণ্ডলেরা বলেন, “বোরোর বীজের মেয়াদ সাধারণত চল্লিশ দিনের হয়। এই আর্দ্র আবহাওয়ায় বীজের অঙ্কুরোদ্গমে দেরি হবে। আবার, যেখানে সবে পাতা বেরিয়েছে, সেখানে ধসা রোগ আসবে। এতে ধান গাছ অপুষ্ট হলে ফলন কমার আশঙ্কা থাকছে।”

Advertisement

জেলা কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর রায়ও জানাচ্ছেন, আর্দ্র আবহাওয়ায় আলুর মতো বোরো ধানের বীজতলায় ছত্রাকঘটিত ধসা রোগের আশঙ্কা বাড়ে। বৃষ্টি থামলেই ছত্রাকনাশক 'জিনেব' প্রতি লিটার জলে আড়াই গ্রাম করে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। তাঁর আশঙ্কা, আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পরে, ঠান্ডা হাওয়া বইলে বীজ বসে যেতে পারে। তা থেকে বাঁচতে বীজতলার উত্তর-পশ্চিম দিকে বস্তা টাঙিয়ে আড়াল তৈরি করতে হবে।

তাঁর কথায়, “সাধারণত নিচু জমিতে বীজতলা করতে বলা হয়। তাতে ঠান্ডা হাওয়া উপর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, বীজতলায় সন্ধ্যায় জল দিয়ে সকালে বার করে দিতে হবে। জল তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। বীজতলায় ছাই ছড়িয়ে দিলে মাটির উষ্ণতা যেমন ধরে রাখে, তেমনই ছাইয়ের পটাশ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement