BJP

বিজেপি বিধায়কের চার আত্মীয়ের মাথা ফাটল,পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁকুড়ায়

সোমবার রাতে তুলকালাম কাণ্ড বাধল বাঁকুড়ার শালতোড়ার কেলাই গ্রামে। বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৪
Share:

আহত আত্মীয়দের নিয়ে হাসপাতালে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে তুলকালাম কাণ্ড বাধল বাঁকুড়ার শালতোড়ার কেলাই গ্রামে। ওই গ্রামে বাড়ি শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন চন্দনার চার আত্মীয়ের উপর চড়াও হয় লাঠি এবং কুড়ুল নিয়ে। তার আঘাতে বিধায়কের চার আত্মীয় জখম হয়েছেন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, গোটাটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Advertisement

গঙ্গাজলঘাঁটি থানার কেলাই গ্রামে সোমবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন ওই ব্লকের তৃণমূল নেতারা। বিধায়ক চন্দনার দাবি, তৃণমূল নেতারা গ্রামে ভোট প্রচারে গেলে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখালে তাঁরা পালিয়ে যান। চন্দনা বলেন, ‘‘এই ঘটনার পর গ্রামের এক তৃণমূল নেতা দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার আত্মীয়দের গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে তৃণমূলের লোকজন লাঠি এবং কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনায় দু’জন নাবালক-সহ মোট চার জন আত্মীয় গুরুতর আহত হয়েছে।’’

ওই ঘটনার পর চার আত্মীয়কে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে চন্দনা প্রথমে যান অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই চার জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করানো হয়। এই ঘটনায় সোমবার রাতে গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান বিধায়কের আত্মীয়েরা। রাতেই কেলাই গ্রামে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।

Advertisement

হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাঁটি-২ সাংগঠনিক ব্লকের সহ-সভাপতি জিতেন গড়াই বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সংঘর্ষ বা হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির দু’টি গোষ্ঠী মত্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement