Business

বিপণনে দ্বিতীয় স্থানে ধানাড়া

এই জেলারই পাড়া ব্লকের আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সঙ্ঘ বিপণনে উল্লেখযোগ্য নজির গড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০১:২১
Share:

সাফল্য: ধানাড়া দুর্গাময়ী সঙ্ঘের মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

নিষ্ঠা আর শ্রমকে সম্বল করে কাজ করে গিয়েছেন। তার ফলও মিলল। সম্প্রতি কলকাতায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর আয়োজিত ‘সরস মেলা’-য় পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকের ধানাড়া দুর্গাময়ী মহিলা সঙ্ঘ বিপণন বিভাগে দক্ষতা দেখিয়ে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে।

Advertisement

বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘ধানাড়া মহিলা সঙ্ঘকে হস্তজাত সামগ্রীর বিপণনের কৃতিত্ব স্বরূপ দ্বিতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় তাঁরা বিভিন্ন মেলায় যোগ দেন। ওই সঙ্ঘ যাতে আরও ভাল কাজ করতে পারে, সে জন্য ব্লক অফিস চত্বরে তাদের জন্য একটি দোকান তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দোকানটি সঙ্ঘের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ ব্লকে মহিলাদের উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক নন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, এই পুরস্কার এলাকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।

এই জেলারই পাড়া ব্লকের আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সঙ্ঘ বিপণনে উল্লেখযোগ্য নজির গড়েছে। কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের ১০টি সঙ্ঘকে নির্বাচিত করেছে। তার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পাড়ার ওই সঙ্ঘ। দিল্লিতে জাতীয় লাইভলিহুড মিশনে তাঁরা পুরস্কৃত হবে।

Advertisement

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা ধানাড়া পঞ্চায়েত এলাকার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মিঠু মণ্ডল বলেন, ‘‘মানবাজার ১ ব্লকে ১০টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ওই সব পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা তাঁদের হস্তজাত সামগ্রী ধানাড়া সঙ্ঘকে বিক্রি করেন। সঙ্ঘ সেই সব জিনিস জেলা বা বাইরে বিক্রি করে। কোন দলের কী সামগ্রী, তার পরিমাণ, কবে কেনা হল, তাদের কবে টাকা দেওয়া হল, সমস্ত কিছুই সঙ্ঘকে খাতায় তুলে রাখতে হয়।

সঙ্ঘের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বাঁশের ও সাবুই ঘাসের তৈরি জিনিসপত্র, বীজ-কলম, গয়না, ডোকরার শিল্প সামগ্রী থেকে দুগ্ধজাত ও আচার, জেলি, বড়ি ইত্যাদি তাঁরা বিক্রি করেন। সঙ্ঘের সভানেত্রী সুজাতা মণ্ডল, সম্পাদক সুমিত্রা গোপমণ্ডল, হিসাবরক্ষক রানি টুডু জানান, ২০১৯ সালের শেষ দিকে তাঁরা দশটি পঞ্চায়েত এলাকার হস্তজাত সামগ্রী কিনে বাজারজাত করার অনুমতি পান। সঙ্ঘ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকা রাসমণি পাল বলেন, ‘‘আমরা গত এক বছরে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ করেছি। আগামীদিনে হস্তজাত সামগ্রী বেশি করে বিক্রির ব্যবস্থা করব। তাতে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও রোজগার বাড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement