উদ্বোধন ই-অ্যাম্বুল্যান্সের

বিধায়ক ছাড়া এ দিনের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার শোভন দে-সহ অন্যান্যরা। ফিতে কেটে উদ্বোধনের পরে নিজেই নতুন অ্যাম্বুল্যান্সের একটির চালকের আসনে বসে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৫
Share:

আনুষ্ঠানিক: ই-অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র

এক ভবন থেকে অন্য ভবনে রোগীদের নিয়ে যেতে এবার হাসপাতালে এল ই-অ্যাম্বুল্যান্স। শনিবার দুপুরে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকে নিজের তহবিল থেকে দেওয়া দুটি ই-অ্যাম্বুল্যান্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

বিধায়ক ছাড়া এ দিনের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার শোভন দে-সহ অন্যান্যরা। ফিতে কেটে উদ্বোধনের পরে নিজেই নতুন অ্যাম্বুল্যান্সের একটির চালকের আসনে বসে পড়েন। হাসপাতালের সুপারকে পাশে বসিয়ে এক চক্কর ঘপরে ফেলেন হাসপাতাল চত্বর। বিধায়ক বলেন, ‘‘রোগীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই দুটি পরিবেশ বান্ধব অ্যাম্বুল্যান্স চালু করা হল।’’

এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ড নতুন দশতলা ভবনে থাকলেও ডিজিটাল এক্সরে, সিটি স্ক্যান এবং অপারেশন থিয়েটার রয়েছে পুরনো ভবনে। রোগীদের পরীক্ষা করাতে বা অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়ার অসুবিধার কথা কথা বহুবার জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। বিধায়ককে বিষয়টি জানান সুপার। নতুন ভবন তৈরি হওয়ার পর থেকে ভাড়া করা অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এতে হাসপাতালের তহবিল থেকে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছিল বলেও জানান সুপার। অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়া গেলে স্ট্রেচারে করে রোগীদের নিয়ে যেতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছিলেন রোগীদের আত্মীয় পরিজনেরা।

Advertisement

শোভনবাবু বলেন, ‘‘আমরা বিধায়কের কাছে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স পেলাম। এতে রোগীদের খুব সুবিধা হবে।’’ বিধায়ক জানান, প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার ই-অ্যাম্বুল্যান্স দুটি ব্যাটারি পরিচালিত ফলে পরিবেশ বান্ধব। এগুলি সহজেই হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নিয়ে এসে সিটি স্ক্যান বা ডিজিটাল এক্সরের জায়গায় অথবা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে পারবে। যেখানে আগে রোগীদের স্ট্রেচারে করে নতুন ভবনের বাইরে এনে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে হত এবং ফের অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে হত। এতে বহু রোগীর স্যালাইন বা চ্যানেল করা অংশে আঘাত লাগার আশঙ্কা থাকত। এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স আরও বাড়ানোর কথাও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement