অর্ধনির্মিত অবস্থায় পরে হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
নির্মাণের পর কেটে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি। এখনও চালু হল না বিড়ি শ্রমিকদের জন্য নির্মিত হাসপাতাল।
কেন্দ্রে তখন ইউপিএ সরকার আর রাজ্যে ক্ষমতায় বামেরা। সেই সময় ২০০৬ সালে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এই তিন জেলার বিড়ি শ্রমিকদের জন্য পুরুলিয়া জেলার ঝালদা টালি সেন্টারে হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। জমির জট কাটে স্থানীয় সমাজসেবী অনুসুয়া দেবীর দৌলতে। তিনিই জমি দান করেন। ২০০৮ সালে ৮ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে শুরু হয় কাজ। বছর ১৪ আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে হাসপাতাল। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই হাসপাতাল চালু করে ওঠা গেল না!
কেন আজও চালু হল না এই হাসপাতাল, এই প্রশ্নের জবাবে সিটু অনুমোদিত বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি ভীম কুমার বললেন, ‘‘শুধুমাত্র কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই আজ পর্যন্ত এই হাসপাতাল চালু হয়নি। বাম সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকার এই হাসপাতালের জন্য কিছুই করেনি। এটি তো বিড়ি শ্রমিকদের সেসের টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র সরকার শুধু নিয়ন্ত্রণ করত।’’
হাসপাতাল নির্মাণে পিছনে অবদান রয়েছে প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের মন্ত্রীদের এই হাসপাতাল চালু করার জন্য চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও কারণে ওঁরা মৌন হয়ে রয়েছেন। আমিও এর শেষ দেখে ছাড়ব।’’
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়া জেলার মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি। দেখছি কী করা যায়।’’