প্রতীকী ছবি।
সাতসকালে বাড়ির দরজায় দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়লেন দুবরাজপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা ও গয়নার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫৫মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর শহরের বাজার এলাকায় দুবরাজপুর বক্রেশ্বর মূল রাস্তার ধারে। শহরের ব্যস্ততম এলাকায় সাত সকালে কী ভাবে দুষ্কৃতীরা এ কাজ করল, শহরবাসীর নিরাপত্তাই বা কোথায়, এ সব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
১১মাস আগে দুবরাজপুর পাকুড়তলা মোড় থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে তিন তলা বাড়ি কিনে তার নীচে একটি গয়নার দোকান করেছেন ওই যুবক, দীপক বসাক। তাঁর পরিবার থাকে ওই বাড়িরই উপরতলায়। গয়নায় হলমার্ক করাতে এবং ব্যবসার কাজে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে কলকাতায় যান দীপক। মূলত বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর বাজার বন্ধ থাকে বলে এই দিনটাই কলকাতা যাওয়ার জন্য বাছেন তিনি। এ দিনও সে জন্যই বেরোচ্ছিলেন তিনি।
দীপক জানাচ্ছেন, ‘‘দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে ৬টা ২০ নাগাদ কলকাতাগামী সরকারি বাস ধরার জন্য ৫টা ৫৫মিনিটে বের হয়ে রাস্তায় টোটোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা আমায় আক্রমণ করে। টুপিতে মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমার ব্যাগ, মোবাইল, গলায় থাকা সোনার চেন সব কেড়ে নেয়।’’ ঘটনার পরই দুবরাজপুর থানায় লক্ষাধিক টাকা ও গয়না লুট হওয়ার অভিযোগ করেন দীপক।
লিখিত অভিযোগে পুলিশকে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সকালে বাইরে বেরোতেই দেখি দু’জন যুবক এগিয়ে আসছে। কিছু বোঝার আগে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। দীপকের কথায়, ‘‘যাওয়ার আগে আমাকে বাড়ির ভিতরে গিয়ে দরজা লাগাতে বলে। তারপরই বাইকের আওয়াজ পাই। আমি চিৎকার শুরু করি। কিন্তু প্রাণ ভয়ে ওদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না।’’
দুবরাজপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের তরফে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। দুবরাজপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি। তবে ওই রাস্তায় পুলিশের তরফে লাগানো একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ওই ব্যবসায়ীর দরজায় লাগানো সিসি
ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। ওই সময় রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া এক টোটো চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা সম্পর্কে সূত্র পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।