চলছে মূর্তি তৈরি। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার বিকনা অঞ্চল ডোকরা শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। এ বারে সেই শিল্পের থিমে গড়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ ও প্রতিমা। ডোকরার আদলে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি হচ্ছে বিষ্ণুপুর দলমাদল সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির তরফে। মণ্ডপসজ্জাতেও থাকছে ডোকরার শিল্পকলা। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের জন্য বিকনার ডোকরা শিল্পীদের নিয়ে মণ্ডপ চত্বরে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে তৈরি হবে ডোকরার মূর্তি। প্রতিমা শিল্পী সোনামুখীর সুকুমার সূত্রধর বলেন, “প্রতিমার পোশাক ও অলঙ্করণে থাকছে ডোকরার আদলে মাটির সূক্ষ্ম কারুকার্য। বিকনার ডোকরার তৈরি দুর্গা প্রতিমার আদলেই নির্মিত হচ্ছে জেলার সব থেকে উঁচু এই প্রতিমা। ডোকরা শিল্পে যেমন কোনও ছাঁচ নেই, প্রতিটি মূর্তি পৃথক ভাবে তৈরি করতে হয়, তেমন এখানেও মাটি দিয়ে ওই আদলে তৈরি হচ্ছে সব প্রতিমা।’’
বিকনার ডোকরা শিল্পী হরেন্দ্রনাথ রানা বলেন, “পুজোর দিনগুলিতে ওই মণ্ডপে বসেই আমরা হাতে-কলমে ডোকরার মূর্তি তৈরি করে দেখাব। হস্তশিল্পের প্রসারে এই ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” পুজো কমিটির তরফে আশিষ রায় বলেন, ‘‘ডোকরা শিল্পীরা কী ভাবে তাঁদের সামগ্রী তৈরি করেন তা সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে মণ্ডপে। ডোকরা শিল্পকে ঘিরে ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহ আনতে এই কাজ।” পুজো কমিটির সম্পাদক সুজিত সাঁতরা বলেন, “ডোকরা শিল্পীদের কাজ প্রদর্শনের জন্য মণ্ডপ চত্বরে থাকছে চারটি স্টল। থাকবে তা বিক্রির ব্যবস্থাও। মণ্ডপে ঢুকলে মনে হবে যেন বিকনার ডোকরা শিল্পডাঙা।