চলছে সেতুর কাজ। নিজস্ব চিত্র
বহু দিন ধরেই তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লাভপুর স্টেশনের নামকরণের দাবি তুলেছিলেন স্থানীয়েরা। এবার নির্মীয়মাণ লা’ঘাটা সড়ক সেতু তাঁর নামে করার দাবি উঠল। রবিবার লেখকের ১২৪ তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তারাশঙ্করের রচনার জীবন্ত চরিত্র হিসেবে পরিচিত সুকুমার চন্দ্র ওরফে বিশু ডাক্তার এই দাবি জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই তারাশঙ্করের স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি ভবন, রাস্তার নামকরণ, তাঁর কর্মভূমি ধাত্রীদেবতা সংস্কার এবং সংগ্রহশালা নির্মাণ সহ বেশ কিছু কাজ হয়েছে। এবার তাঁর নামে লা'ঘাটা সেতুর নামকরণের দাবি উঠল। রবিবার ধাত্রীদেবতায় গান, আবৃত্তি, সাহিত্যসভা, স্মৃতিচারণ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারাশঙ্করের জন্মদিন পালনের আয়োজন করে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, সুকুমার চন্দ্র, মহাদেব দত্ত, কার্তিকদাস বাউল, রাজীব ঘাটি, তাপস চট্টরাজ, কেদারনাথ আচার্য, তরুণ চক্রবর্তী প্রমুখ। সেখানে স্থানীয় বিধায়কের কাছে ওই দাবি করেন সুকুমারবাবু। বিধায়ক বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের পর্যটন বিভাগ তারাশঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত হাঁসুলি বাঁক, ধাত্রীদেবতা, ফুল্লরা মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের জন্য নানা প্রস্তাব নিয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’’
এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে আগামী বছর তারাশঙ্করের ১২৫ তম জন্মদিন পালনের জন্য নানা প্রস্তাব নেওয়া হয়। তার অন্যতম, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, বাংলা আকাদেমি এবং কলকাতা জাদুঘরে তারাশঙ্করের যে সব পুরস্কার এবং পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে তার রেপ্লিকা এবং ফটোকপি সংগ্রহ করে ধাত্রীদেবতার সংগ্রহশালায় রাখা। গঠন করা হবে ধাত্রীদেবতার অছি পরিষদও।
আয়োজক সংস্থার কর্ণধার উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই সব কাজ করার জন্য সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ স্থানীয় অতুলশিব ক্লাব প্রাঙ্গনেও নাচ, গান, স্মৃতিচারণ, নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে দিশারী সাংস্কৃতিক চক্র এবং অতুলশিব ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে তারাশঙ্করের জন্মদিন পালন করা হয়। আয়োজক সংস্থার কর্ণধার পার্থপ্রদীপ সিংহ বলেন, ‘‘তারাশঙ্করের স্মৃতি রক্ষার্থে আমরাও বিধায়কের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব রেখেছি।’’