—প্রতীকী ছবি।
ফের একগুচ্ছ পণ্যে কর কমানোর সুপারিশ করল জিএসটি কাউন্সিল। ফলে আগামী দিনে চাল থেকে শুরু করে চিকিৎসা খরচ সস্তা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের ৫৫তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানের জয়সলমীরে। সেখানে হাজির ছিলেন কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মরু রাজ্যের ওই বৈঠকেই বিভিন্ন পণ্যের উপর থেকে কর কমানোর সুপারিশ করেছেন জিএসটি কাউন্সিলের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, গুণগত মানের দিক থেকে ভাল চালের ক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। যে সমস্ত চালের ‘এইচএস কোড ১৯০৪’, সেগুলির ক্ষেত্রে কর পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার পক্ষপাতী কাউন্সিল। সে ক্ষেত্রে কমবে এই ধরনের চালের দাম। শুধু তা-ই নয়, দামি চাল মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে মনে করছেন কাউন্সিলের সদস্যরা।
এ ছাড়া এ বারের বৈঠকে ‘জিন থেরাপি’কে পুরোপুরি জিএসটির আওতার বাইরে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সাধারণ বিমা সংস্থাগুলি তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) মাধ্যমে মোটর যান দুর্ঘটনা তহবিলের জন্য কিস্তিতে কিস্তিতে গাড়ি মালিকদের থেকে টাকা নিয়ে থাকে। সেখানেও জিএসটি ছাড়ের সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। ভাউচার লেনদেনের ক্ষেত্রেও জিএসটির প্রয়োজন নেই বলে মরু রাজ্যের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভাউচার সংক্রান্ত নিয়ম সংশোধনের কথাও চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
জিএসটি কাউন্সিল জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক এবং নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির (এনবিএফসি) জরিমানার উপর জিএসটি কখনওই ঋণগ্রহীতার উপর লাগু হবে না। ঋণের শর্ত এ ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকবে। কয়েকটি যানবাহন বাদ দিলে বিদ্যুৎচালিত-সহ সমস্ত পুরনো গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে জিএসটির পরিমাণ ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। কৃষকরা সবুজ বা শুকনো যে কোনও গোলমরিচের ক্ষেত্রে জিএসটিতে ছাড় পাবেন।
খুচরো বাজারে প্যাকেজজাত পণ্য বিক্রির সংজ্ঞায় বড় বদলের সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। এর ফলে বদলে যাবে ২৫ কেজি বা ২৫ লিটারের কম ওজনের সামগ্রীর প্রাক্ প্যাকেজিং ও লেবেল সাঁটানোর নিয়ম। নুন ও মশলাযুক্ত রেডি টু ইট পপকর্নের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এতে ১২ শতাংশ কর লাগু হবে। তবে প্যাকেট ছাড়া পপকর্নের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করতে চাইছে কাউন্সিল।