ভোট চলাকালীন বসে রয়েছেন পূর্ণিমা কান্দু। নিজস্ব চিত্র।
নিজে এই এলাকার ভোটার নন। কিন্তু রবিবার উপনির্বাচনের দিন কার্যত দিনভর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে বসে রইলেন ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। বিকেলে ভোট শেষ হওয়ার পরে বাড়ির পথ ধরেন তিনি। তবে এই ওয়ার্ডের ভোটার হওয়া সত্ত্বেও এ দিন বুথে আসতে দেখা যায়নি তপন খুনে ধৃত দীপক কান্দুর মা বাবি কান্দুকে।
এ দিন সকালেই বাড়ি থেকে বেরোন ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ঝালদা হাইস্কুলের কাছাকাছি একটি বাড়ির সামনে দলের কয়েক জন মহিলা কর্মীকে নিয়ে বসেছিলেন তিনি। কখনও ভোট দিতে আসা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন, কখনও স্বামীর কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। কথার ফাঁকে কেঁদেও ফেলেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘এই অকাল নির্বাচন ঝালদার মানুষ চাননি। ক্ষমতা দখলের জন্য খুন করা হল আমার স্বামীকে। মানুষ ভোটবাক্সেই এ সবের জবাব দেবেন।’’
পূর্ণিমা জানান, সকালে বাড়ি থেকে চা-বিস্কুট খেয়ে বেরিয়েছেন। দুপুরে বাড়ি ফেরা হয়নি, তাই খাওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এক দিন না হয় না খেলাম। ভোটপর্ব মিটলে তবেই বাড়ি ফিরব।’’ ভোট শেষ হওয়ার পরে বাড়ির রাস্তা ধরেন তিনি। পূর্ণিমার মেয়ে দীপা বলেন, ‘‘বেরোনোর সময়ে মা বলে গিয়েছিলেন, যতক্ষণ না ভোট মিটবে, ততক্ষণ ঘরে ফেরা হবে না।’’
এ দিন অবশ্য বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি দীপক কান্দুর মা তথা নরেন কান্দুর স্ত্রী বাবি কান্দুকে। তিনি এই ওয়ার্ডেরই ভোটার। আগে এখানকার কাউন্সিলরও ছিলেন। দীপক গত পুরভোটে তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তপন খুনে দীপক ও নরেন গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন। ভোট দিতে না যাওয়া প্রসঙ্গে বাবি এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘ভোট দেওয়া বা না দেওয়া ব্যক্তিগত বিষয়। তবু কেন তিনি ভোট দিলেন না, দলীয় স্তরে খোঁজ নেব।’’