—নিজস্ব চিত্র।
২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, শাসকদলে যোগ দিয়েছেন পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। এই দলবদলে পুরসভাও কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করা সেই পুরপ্রতিনিধিদেরই দেখা গেল না বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে! কংগ্রেস অবশ্য একে শাসকদলের ‘আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব’ বলে দাগিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত সাত মাস ধরে ঝালদা পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান পদে ছিলেন নির্দল শীলা চট্টোপাধ্যায়। উপপুরপ্রধান পদে হয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হওয়া প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দু। বুধবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু-সহ মোট পাঁচ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। যার জেরে রাজ্যে নিজেদের দখলে থাকা একমাত্র পুরসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ঠিক তার পর দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পুরসভায় অর্থ দফতরের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে তৃণমূলের পাঁচ, উপপুরপ্রধান পূর্ণিমা-সহ কংগ্রেসের দু’জন কাউন্সিলর হাজির থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না দলবদলুরা।
পূর্ণিমা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ওই কাউন্সিলরেরা কেন পুরবৈঠকে আসেননি, তা ওঁরাই বলতে পারবেন।’’ তবে কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘বৈঠকে কাউন্সিলরদের এই অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে দিচ্ছে, তৃণমূলের নব্য বনাম আদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠিক কতটা।’’ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা জানি না কে বা কারা দলে যোগদান করেছেন। সংবাদমাধ্যমে খবরটা শুনেছি। তাঁরা হয়তো পদের জন্যেই দলে এসে থাকতে পারেন। তবে এ দিনের বৈঠকে তাঁরা কেন আসেননি, তা আমার জানা নেই।’’ এ ব্যাপারে শীলার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।