খালি: বেসরকারি বাস চালু হলেও নেই যাত্রী। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে। নিজস্ব িচত্র
ক্ষতির আশঙ্কা নিয়েই সিউড়িতে শুরু হল বেসরকারি বাস চলাচল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। যদিও মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার না পাওয়ায় বাস চালুর আগে বিক্ষোভ দেখান বাসকর্মীরা। পরে সমস্যা মেটে। বাস মালিক সংগঠনের নেতা তন্ময় পৈতণ্ডি বলেন, ‘‘ক্ষতির আশঙ্কা নিয়েও প্রশাসনের নির্দেশ মতো গাড়ি চালাচ্ছি।’’
বাস মালিকদের থেকে জানা গিয়েছে, এ দিন তাঁরা ১১টি রুটে বাস চালিয়েছেন। তবে যাত্রী ছিল না বললেই চলে। কোনও বাসে একজন, তো কোনও বাসে তিন থেকে চার জন যাত্রীকে দেখা গিয়েছে। বাস মালিকদের দাবি, প্রশাসনের সম্মান রক্ষা করতে এবং মানুষকে পরিষেবা দিতেই তাঁরা বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে চালাতে হবে। অন্য সমস্যারও সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বাস মালিকদের দাবি, প্রশাসনের নির্দেশে একটি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা সেই সমস্যার কথা প্রশাসনকেও জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাস মালিক সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘‘এত কম যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে চালাতে হবে। যাত্রী বিক্ষোভের কথাও প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমাদের বলা হয়েছে যে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দেখা যাক কতদূর কী হয়!’’
এ দিন সকালে অবশ্য বাস চালানো নিয়ে সামান্য জটিলতা দেখা দেয়। বাসের চালক ও কর্মীরা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার না পাওয়ায় তাঁরা প্রথমে বাস চালাতে অস্বীকার করেন। তাঁদের ক্ষোভ, উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়া বাস চালাতে গেলে তাঁরা সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। আসানসোল রুটের বাস কর্মী শেখ তুফান, শেখ আনার বলেন, ‘‘আমরা তো বাস চালাতে চাই। কিন্তু নিরাপত্তা ছাড়া কী করে চালাব? তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।’’ পরে যে বাসগুলি চলাচল করেছে সেই বাসের চালক ও কর্মীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়।