প্রতীকী ছবি
নতুন নতুন এলাকায় করোনা সংক্রমণ হচ্ছে কিনা, তা জানতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতো বীরভূম জেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়াতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্তারা ‘মাইক্রো প্ল্যান’ অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিটের অভাবে দৈনিক টেস্টের লক্ষ্যমাত্রায় এখনই পৌঁছতে পারছে না স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় দৈনিক ৮০০ পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তার মধ্যে ৪০০ পরীক্ষা হবে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে। বাকি ৪০০ পরীক্ষা র্যাপিড অ্যান্টিজেনে। অন্য দিকে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় দৈনিক ১৩০০ থেকে ১৪০০ পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেনে হবে ৬০০। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪২৫০ কিট দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ৪৭০টি কিট দেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় চার হাজারের বেশি অ্যান্টিজেন টেস্টে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় ছ’হাজারের বেশি কিট এসেছে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫,৪৩৯টি অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ১৯০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
দুই স্বাস্থ্যজেলা সূত্রের খবর, নতুন নতুন এলাকায় করোনা সংক্রমণের খোঁজ নিতে অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই টেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের জোগানের অভাব ছিল। শুক্রবার অবশ্য দুই স্বাস্থ্য জেলাতেই কিটের জোগান দেওয়া হয়েছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় এ দিন ৩ হাজার কিট এসেছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার জন্য ২ হাজার ২৫০টি কিট পাওয়া গিয়েছে।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সি এম ও এইচ হিমাদ্রি আড়ি এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সি এম ও এইচ অমিতাভ সাহা জানান, স্বাস্থ্য ভবন থেকে আগামী দিনে আরও কিট জোগানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর ফলে টেস্টের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাবে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)