ফাইল চিত্র।
করোনা আতঙ্কের জের এসে পড়ল শান্তিনিকেতনেও। বাতিল করা হল বিশ্বভারতীর চিনা ভবনে চিনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সফর।
প্রতি বছরই বিশ্বভারতীর চিনা ভবনে বিশ্বভারতী ও চীনের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের জন্য নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছরও ফেব্রুয়ারি মাসেই বিশ্বভারতীতে আসার কথা ছিল ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রতিনিধির। বেশ কিছুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে নানা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে সেই সফর বাতিল করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, অনুষ্ঠান পরে কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দেশে থাকা পরিজনদের জন্য উদ্বেগে রয়েছেন বিশ্বভারতীর চিনা পড়ুয়ারাও। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসেরও উত্তর দেননি। বসন্তোৎসবের প্রস্তুতির আবহেও করোনা-আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে শান্তিনিকেতনে। এ দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের আবহে ভিড় এড়াতে এ বছর হোলির কোনও অনুষ্ঠানেই তিনি উপস্থিত থাকবেন না। দোলের দিন বসন্তোৎসবে বিপুল জনসমাগম হয় শান্তিনিকেতনে। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই টুইট ঘিরে এ দিন চর্চা চলে শান্তিনিকেতন জুড়ে। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী, অনিন্দিতা রাউত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তাঁর দিক থেকে যে সচেতনতামূলক বার্তাটি দিয়েছেন তা অবশ্যই পালন করা উচিত। আমরা আমাদের আচার্যের বার্তায় সচেতন হব, কিন্তু বসন্তোৎসবে না থাকার কোনও প্রশ্নই নেই।”