স্কুলের নামের বানানে ভুল!
প্রাথমিক হয়ে গিয়েছে ‘প্রার্থমিক’। গ্রামীণ হয়ে গিয়েছে ‘গ্রামিন’। ইংরেজিতে ‘প্রাইমারি’ শব্দটির বানানও ভুল। পুরুলিয়ার ১ নম্বর গ্রামীণ চক্রের রুদড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের উপর লেখা স্কুলের নামের বানান ভুল নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল। সম্প্রতি পুরুলিয়ারই এক হাই স্কুলের একটি আবেদনপত্রে ইংরেজিতে ‘স্কুল’ ভুল বানান নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল নেটমাধ্যম। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার চর্চায় রুদড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ ঘিরে রাজ্য জুড়ে শোরগোল। সেই আবহে স্কুলের নামে ভুল বানান বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, স্কুলের শিক্ষকদের চোখে কেন এই ভুল বানান ধরা পড়ল না, আর যদি পড়েও থাকে, তা হলে ওই ভুল বানান ঠিক করা হল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনিত্যকুমার পাণ্ডে নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘আমার বাচ্চা ওই স্কুলে পড়ে। বিদ্যালয়ের মূল দরজায় ভুল লেখা থাকলে বাচ্চারা কী শিখবে?’’ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, বর্তমানে রেলে কর্মরত মনোরঞ্জন মাহাত বলেন, ‘‘এটা দেখে খুবই খারাপ লাগছে। এক সময় এই স্কুলে পড়েছি। এই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’’
ইংরেজিতে ‘প্রাইমারি’ শব্দটির বানানও ভুল!
এই বিতর্কে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা মাহাত বলেন, ‘‘যদি ভুল থাকে, তা হলে তা সংশোধন করে নেওয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আরও যত্নশীল হতে হবে।’’ পুরুলিয়া ১ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি নির্মলচন্দ্র মাহাত বলেন, ‘‘স্কুলের নামে ভুল বানান থাকা কখনওই কাম্য নয়। শীঘ্রই এটা ঠিক করা হোক।’’ এসইউসিআই নেতা ভগীরথ মাহাত বলেন, ‘‘শিক্ষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল এটা। পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে।’’ এই বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। আগে দেখে নিই, তার পর মন্তব্য করব।’’ চেষ্টা করেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।