ঝালদা পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা পূর্ণিমা কান্দুর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ঝালদা পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। বৃহস্পতিবার তিনি নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত বুধবার রাতে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত পাঁচ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলে নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু (নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো), পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
পূর্ণিমা জানিয়েছেন, যে হেতু পুরসভায় তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, তাই নৈতিকতার কারণেই আর এই পদে থেকে যাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘‘নৈতিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।’’ পূর্ণিমা যে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেবেন তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। বাঘমুন্ডির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতর সঙ্গে কথা বলেই পূর্ণিমা তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে ঝালদা পুরসভার দখল পেয়েছিল কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাই কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে পুরপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা। আর পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরভবনে এগজিকিউটিভ অফিসার বিধান পাণ্ডের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন পূর্ণিমা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের পুরপ্রধান শীলা আরও চার কংগ্রেস কাউন্সিলরকে নিয়ে শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তার জেরে কংগ্রেসের পুরবোর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এই অবস্থায় আর উপপুরপ্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাননি নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা।