বাঁকুড়ায় ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগের তদন্তে এ বার তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি-সহ ৩০ জন নেতা কর্মীকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।
বাঁকুড়ার ইন্দাসে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগের তদন্তে এ বার তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি-সহ ৩০ জন নেতা কর্মীকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সোমবার সকালে সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি তদন্তকারী দল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার নাড়রা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজির হয়। সেখানেই তলব করা হয় ইন্দাসের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ-সহ ৩০ জনকে।
গত ৫ মে গ্রামের এক বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ইন্দাস ও পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার সীমানা এলাকায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বুথ এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন অরূপ। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে দু’দিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এর পর অরূপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
বিজেপি-র দাবি ছিল, অরুপের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র বলি তিনি। এর পরই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে খুনের ঘটনার তদন্তে নামে এ দিন মোট ৩০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জেরা করল সিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হামিদ বলেন, ‘‘অরূপের মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। অরূপকে চিনতাম না আমরা। ঘটনার কথাও জানতাম না। তদন্তের স্বার্থে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করব। কেন্দ্রের সরকার এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখাতে চাইছে। আমাদের মেরুদণ্ড ভাঙতে পারবে না বিজেপি।”