tourism

Bakreswar: বক্রেশ্বরে পর্যটনের পথে বাধা দুর্বল সেতু

শীতকাল জুড়ে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন বক্রেশ্বরে। কিন্তু এ বার  সিউড়ি থেকে সেখানে পৌঁছতে  কার্যত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বক্রেশ্বর নদের উপরে থাকা বেহাল সেতু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০১
Share:

বক্রেশ্বর যাওয়ার পথে এই সেতু নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র।

প্রাচীন শৈব ক্ষেত্র এবং সতীপীঠ নিয়ে বক্রেশ্বর ধামের অন্যতম আকর্ষণ উষ্ণপ্রস্রবণ। শীতকাল জুড়ে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন বক্রেশ্বরে। কিন্তু এ বার সিউড়ি থেকে সেখানে পৌঁছতে কার্যত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বক্রেশ্বর নদের উপরে থাকা বেহাল সেতু।

Advertisement

ওই সেতুর দু’দিকে ‘হাইট বার’ লাগিয়ে গত মার্চ থেকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুর্বল সেতুটির উপর দিয়ে ছোট গাড়ি ছাড়া যে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রিবাহী বাস ও টুরিস্ট বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটক, ওই এলাকার বাসিন্দা থেকে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা।

পূর্ত দফতর (সড়ক) সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই সেতুর দু’পাশ বসে গিয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারেরা এসে সেতুর অবস্থা খতিয়ে দেখার পরেই জানান, বেহাল সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তার পরেই সেতুটিতে যান নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, মার্চে সেতু কার্যত বন্ধ করার সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যে ওই সেতু ভার বহনে কতটা সক্ষম সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি ঠিক থাকে, তাহলে আপাতত বাস চলাচলে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু, তা এখনও হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সেতুর এতটাই খারাপ অবস্থা যে, পরীক্ষা করানো ঝুঁকি হয়ে যাবে বলে কোনও ঠিকাদার সংস্থা এগিয়ে আসছে না।

Advertisement

স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়ন্ত আচার্য, অক্ষয় আচার্য, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ প্রতি বছর এই সময়টায় দিনে ২০ থেকে ২৫টি টুরিস্ট বাস আসে। সেটা এ বারও আসছে। কিন্তু, সেতু বেহাল হওয়ায় বক্রেশ্বর সেতুর ওপারে বাস থামতে বাধ্য হচ্ছে। এতটা হেঁটে মন্দির ও উষ্ণ প্রস্রবণে পৌঁছতে কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা। শৌচাগার ব্যবহারেও সমস্যা রয়েছে। ব্যবসা মার খাচ্ছে ভীষণ ভাবে।’’ তাঁদের আরও দাবি, সন্ধ্যার পরে কোনও টুরিস্ট বাস এসে পৌঁছলে সমস্যা সবচেয়ে বেশি । সেতুর ওদিকে অন্ধকার নির্জন এলাকায় নিরাপত্তা জনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে যে কোনও দিন। সেতু না-হোক, অন্তত কজওয়ে গড়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুক প্রশাসন, এমনই দাবি এলাকার মানুষের। বক্রেশ্বর হয়ে কলকাতাগামী সরকারি বাস পরিষেবাও বন্ধ বেহাল সেতুর কারণে।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেছি। সেতুটি বহন ক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ না-করলে কজওয়ে গড়া হবে।’’ পূর্ত দফতরের ডিভিশন ২-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত দাস জানান, সেতু গড়া সময় ও খরচ সাপেক্ষ। তাই উঁচু করে (তলায় ৬ ফুট পরিধিবিশিষ্ট হিউম পাইপ লাগিয়ে) কজওয়ে গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন শীঘ্রই মিলবে বলে আশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement