শেখ কুতুবউদ্দিন। — নিজস্ব চিত্র।
সিউড়ির রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার যুবকের দেহ। দেহের পাশে পড়ে ছিল একটি পাথর, যাতে লেগে রয়েছে রক্ত। প্রথমে যুবকের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পরে তদন্তে নেমে তাঁর পরিচয় জানা যায়। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই ‘প্রেমিকা’ই খুন করিয়েছেন। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে সিউড়ি থানার অন্তর্গত কলেজপাড়া মোড়ে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনার তদন্তে নামে সিউড়ি থানার পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জানতে পারেন, মৃতের নাম শেখ কুতুবউদ্দিন। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়া থানা এলাকার নবডাঙাল গ্রামে। গাড়িতে ধান বোঝাই করার কাজ করতেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহর লাগোয়া কালীপুর গ্রামে একটি মেয়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কুতুবউদ্দিনের। তিনি তাই প্রায়ই সিউড়ি যেতেন। পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, খুনের নেপথ্যে রয়েছেন সেই তরুণী। মৃতের দিদি হীরা বিবি জানিয়েছেন, কুতুবউদ্দিনের স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে কালীপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। তিনি ফোন করলে ছুটে যেতেন কুতুবউদ্দিন। হীরার কথায়, ‘‘ফোন করে ভয় দেখাত তরুণী। বলত, না এলে ফাঁসিয়ে দেব। আমাকেও হুমকি দিয়েছে। বলেছে, ভাইকে মেরে ফেলব। ভাই সব টাকা ওকে দিত। ওই মেয়েটিই ভাইকে খুন করিয়েছে।’’
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দু’জন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ কায়েস এবং এসকে মোবারক। পুলিশের ধারণা, সিসিটিভি ফুটেজে যে এই দু’জনকেই দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।