নামোপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। এ দিকে, পুরুলিয়া শহরে দেওয়াল-দখলে নেমে পড়েছে বিজেপি। তুলির আঁচড়ে দেওয়ালে ফুটছে পদ্মফুল। দলের নেতারা জানাচ্ছেন, আপাতত প্রতীক এঁকে ভোট দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন তাঁরা। প্রার্থী ঠিক হলে নাম লেখা হবে। তবে তৃণমূল কর্মীদের অবশ্য এখনও রঙ-তুলি হাতে চোখে পড়ছে না। শাসক দলের নেতাদের দাবি, ‘যথাসময়ে’ তাঁরা ময়দানে নামবেন।
গত পুরভোটে পুরুলিয়া শহরে খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। ২০১৬ সালে ছিল বিধানসভা ভোট। তাতেও এই শহরে দাগ কাটতে পারেনি তারা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই তৃণমূলের থেকে বিজেপির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। বিজেপির শহর নেতাদের দাবি, এ বার লোকসভার ফল পুরভোটের আগে তাঁদের কর্মীদের ‘উদ্বুদ্ধ’ করেছে।
বিজেপির পুরুলিয়া শহর (দক্ষিণ) মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী জানান, ৫, ৯, ১২, ২৩-সহ নানা ওয়ার্ডে তাঁরা দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বুথ সম্মেলনও করেছি। সেখানে শহরের ১১০টি বুথের কর্মীরাই হাজির ছিলেন।’’ স্লোগান বাঁধাও হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সত্যজিৎবাবু।
বিজেপির অন্দরের একটি সূত্রের দাবি, প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক প্রক্রিয়া এখনও সারা না হলেও, প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক দাবিদার রয়েছেন। তবে সত্যজিৎবাবু বলেন, ‘‘প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক দাবিদার রয়েছেন। সবাই টিকিট পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন। তবে কেউ টিকিট না পেলে অসন্তুষ্ট হবেন, এমন বাতাবরণ আমাদের দলে নেই।’’ তবে পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘লোকসভার হাওয়া এখন নেই। দিল্লির বিধানসভা ভোট বা পাশের ঝাড়খণ্ডে উপনির্বাচনে সেটা প্রমাণিত। পুরুলিয়াও ব্যতিক্রম হবে না।’’ কংগ্রেসও ধাপে ধাপে মাঠে নামতে প্রস্তুত বলে দাবি সুদীপবাবুর।
পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডলও বলছেন, ‘‘লোকসভা ভোট যে ব্যতিক্রম ছিল সেটা পুরসভার ভোটে প্রমাণিত হবে। বিজেপির বুলি যে ফাঁকা, সেটা ভোটের পরে, মানুষ দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় টের পেয়েছেন। আর পানীয় জলের জন্য পুরুলিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আমরা মিটিয়েছি। পুর-পরিষেবার মানেরও উন্নতি হয়েছে। দেওয়াল দখল করলেও পুরসভার নাগাল ওরা
পাবে না।’’ তবে সত্যজিৎবাবু বলছেন, ‘‘লোকসভা ভোটে ২০টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিলাম বলে নয়, আমরা পুরভোট লড়ব বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির উপরে দাঁড়িয়ে।’’