গোশালা রেলগেট বন্ধে আটকে রয়েছে যানবাহন। নিজস্ব চিত্র।
পুরুলিয়া শহরের গোশালা রেললাইনের উপরে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সম্প্রতি পুরুলিয়া স্টেশনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে এ কথা জানিয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। গত মঙ্গলবার টাটানগর স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনে রাঁচী যাওয়ার পথে কিছুক্ষণের জন্য পুরুলিয়া স্টেশনে থেমেছিলেন রেলমন্ত্রী। সেখানেই উড়ালপুল নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবুজ সঙ্কেত মেলার কথা ঘোষণা করেন সাংসদ।
শহরের উত্তর প্রান্তে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের উপরে গোশালা রেলওয়ে ক্রসিংয়ে উড়ালপুল তৈরির দাবি গত কয়েক বছর ধরেই উঠছে। শহরের চৌহদ্দি বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন ক্যাম্পাসও গড়ে উঠেছে ওই রেলফটকের ও পারে। বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত মেডিক্যালের পুরনো ক্যাম্পাস থেকে ইতিমধ্যে একাধিক বিভাগও সরে গিয়েছে ওই নতুন ক্যাম্পাসে। রেললাইনের দু’পারে দু’টি ক্যাম্পাস থাকায় এবং দিনের নানা সময়ে রেলফটক বন্ধ থাকায় প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগী-সহ পরিজনদের। সকলেই চাইছেন, দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হোক।
রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাংসদ বলেন, “গোশালা মোড়ে উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী অনুমোদন করে দিয়েছেন।” এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানান সাংসদ। তাঁর দাবি, “সাড়ে চার বছর ধরে ‘এনওসি’র বিষয়টি আটকে রেখেছিল রাজ্য সরকার। তা হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।”
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা জানান, ওই লেভেল ক্রসিংয়ের উপরে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের নকশা নিয়ে সমস্যা ছিল। তা মিটে গিয়েছে। এ বারে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাংসদের অভিযোগের জবাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এনওসির কোনও বিষয় ওখানে নেই বলেই জানি। উড়ালপুলের নকশায় কিছু সমস্যা ছিল। তার জন্য কাজ আটকে ছিল। উন্নয়নের প্রশ্নে কাজ কেন আটকে থাকবে!”
আদ্রাতেও তো উড়ালপুল তৈরির কাজ চলছে। সেখানে তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না, দাবি তাঁর।