অশোক বিদ। নিজস্ব চিত্র।
দলের দেওয়া নিজের লেটারহেড ব্যবহার করে ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অশোক বিদের বিরুদ্ধে। চাঁদার প্রাপ্তিস্বীকার করা সেই লেটারহেড সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই কাণ্ড ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এর পর ওই নেতাকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দিয়েছে বিজেপি। সংগঠনের ‘প্রয়োজনে’ দলের দেওয়া লেটারহেড ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার কথা ‘স্বীকার’ করেছেন অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতা। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল।
ওই লেটারহেডে দেখা গিয়েছে, অশোক দলীয় কর্মসূচির জন্য ‘ধান্য মিল অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের থেকে চাঁদা বাবদ ২৫ হাজার টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে সেই চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। আর তা নিয়েই দানা বাঁধে বিতর্ক। এর পর বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শুরু করে তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘‘মিল মালিকদের থেকে চাঁদার নামে জোর করে ওই টাকা আদায় করা হয়েছে। বিজেপির নিচু থেকে উপরতলার সব নেতাই এ ভাবে তোলা আদায় করেন। এটা ওই দলের সংস্কৃতি।’’
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কিছুটা অস্বস্তিতে বাঁকুড়া বিজেপি। অশোককে বলা হয়েছে কারণ দর্শাতে। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও বিষয়কে দল সমর্থন করে না। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নথি বিকৃত করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই লেটারহেডের সত্যতা জানার প্রয়োজন রয়েছে। অশোক বিদকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।’’
যাঁকে ঘিরে এই বিতর্ক সেই অশোক বলছেন, ‘‘ব্লক স্তরে দলীয় কর্মসূচি করার জন্য রাজ্য বা জেলা থেকে কোনও তহবিল দেওয়া হয় না। তাই চাঁদা বাবদ ওই অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছে। দলীয় রসিদ না থাকায় বাধ্য হয়ে লেটারহেডেই চাঁদার প্রাপ্তিস্বীকার করতে হয়েছে। আমার দলেরই কয়েক জনের স্বার্থে আঘাত লাগায় ওই লেটারহেড ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। দলের তরফে চিঠি পেয়েই আমি নিজে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছি।’’