বাঁকুড়ার সতীঘাটে কর্মীদের উচ্ছ্বাসে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। নিজস্ব চিত্র
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত পুজোর দিন বুধবার বাঁকুড়ায় ‘লকডাউন’ ভেঙে কিছু জায়গায় মন্দিরে ঘেঁষাঘেঁষি করে পুজো দিতে দেখা গেল বিজেপির নেতা-কর্মীদের। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে শহরের সতীঘাটে রামমন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে দেখা যায়। তিনি নিজেই জানান তাঁর সঙ্গে ছিলেন জনা পঞ্চাশ দলীয় কর্মী। তাঁদের অনেকের মুখেই ‘মাস্ক’ দেখা যায়নি। ঘেঁষাঘেঁষি করে কর্মীদের নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় সুভাষবাবুকে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার। তাঁর অভিযোগ, “পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, করোনা ছড়ানোর চক্রান্ত করেই সুভাষবাবুরা এই সব করেছেন।” যদিও পেশায় ডাক্তার সুভাষবাবুর দাবি, “নিয়ম ও স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই যা করার করেছি। কর্মীরা সবাই ‘মাস্ক’ পরে ও নিরাপদ দূরত্বে ছিলেন। আবেগের বশে মানুষ এ দিন বাইরে বেরিয়েছেন।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “লকডাউনে যারা নিয়ম মানেননি, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাঁকুড়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর নীলাদ্রিশেখর দানা সকাল থেকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পুজো দেন। কর্মীদের অনেকে ‘মাস্ক’ পরলেও আবার অনেকে তা গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সেখানেও অনেককে দূরত্ব-বিধি মানতে দেখা যায়নি। ছাতনাতেও দলীয় কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় হনুমান মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী। জীবনবাবুর সঙ্গীদেরও অনেকের ‘মাস্ক’ ছিল না বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি।
পাত্রসায়রের নারায়ণপুর, বেলুট, বালসি এলাকার কয়েকটি মন্দিরেও পুজো দেন বিজেপি কর্মীরা। তবে প্রতিটি জায়গাতেই হাতে গোনা কয়েকজন বিজেপি কর্মী ছিলেন। পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়ে মাইক বাজিয়ে চণ্ডীপাঠ ও কীর্তন চলে। করোনা-সচেতনতা নিয়েও সে মাইকে প্রচার করতে শোনা যায় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপির পাত্রসায়র (২) মণ্ডল সভাপতি তমাল গুঁই বলেন, “কর্মীরা বাড়িতেই দিনটি পালন করেছেন। কয়েকটি মন্দিরে অল্প কিছু কর্মী নিয়ে পুজো দেওয়া হয়েছে।’’