West Bengal Panchayat Election 2023

‘স্বামী বাঁচাও প্রকল্প দরকার’, মহিলা প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমূল নেতার মন্তব্যে অভিযোগ পুলিশে

যাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য, সেই বিজেপি প্রার্থী মঙ্গলবার বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্য দিকে, থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৭
Share:

বাঁকুড়ায় থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক বাঁকুড়ায়। শাসকদলের নেতার গ্রেফতারির দাবিতে থানায় বিক্ষোভও দেখাল বিজেপি। দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।

Advertisement

বাঁকুড়া-২ ব্লকের সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামদাসপুর চার্বাকপল্লি বুথে সোমবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সভা হয়। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির বাঁকুড়া শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর দত্ত। এর পর শ্যামসুন্দরের একটি ভিডিয়ো মঙ্গলবার সকালে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতে শ্যামসুন্দর শ্যামদাসপুর চার্বাকপল্লি বুথের বিজেপি প্রার্থী দীপু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য স্তরের নেত্রীরা কেউ ড্রাগ পাচারে যুক্ত কেউ আবার মধুচক্রে। আর এখানে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁর আচরণ সিনেমার অভিনয়কেও হার মানাবে। আমার পরামর্শ আপনি সিনেমা করুন, অনেক টাকা কামাবেন। রাজনীতিতে তা পারবেন না।” তাঁকে এ-ও বলতে শোনা যায়, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী জিতলে আমাদের স্বামী বাঁচাও প্রকল্প চালু করতে হবে।”

যাঁকে উদ্দেশ্য করে শ্যামসুন্দরের এই বক্তব্য, সেই বিজেপি প্রার্থী মঙ্গলবার বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, “শ্যামসুন্দর দত্ত নিজের বক্তব্যে যা বলেছেন তা আমি নিজে মুখে বলতে পারছি না। তিনি আমার চরিত্র নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজনীতি করুক বা না করুক, এক জন মহিলা সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা যায় না। এমন মন্তব্য শোনার পর সেই মহিলার বাঁচার ইচ্ছেটাই চলে যায়।’’ বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য টাকা-পয়সা এবং চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই প্রলোভনে পা দেননি তিনি। তাই এই ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

অন্য দিকে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বক্তব্য স্বীকার করে নিয়ে তার পিছনে যুক্তিও দিয়েছেন শ্যামসুন্দর। তাঁর দাবি, “আমি ওই মহিলাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করে টাকাপয়সায় রফা করতে চেয়েছিলেন বলে শুনেছি। শুনেছি তিনি ১৪ দিন জেলও খেটেছেন। বিজেপি আর প্রার্থী খুঁজে পেল না যে ওই মহিলাকে প্রার্থী করতে হল! ওই মহিলার জন্য শ্যামদাসপুরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। ওই মহিলা জিতে এলে সত্যি সত্যি আমাদের স্বামী বাঁচাও প্রকল্প আনতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement