Bengal SSC Recruitment Case

বেআইনি ভাবে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে ‘নিখোঁজ’ এসএসএসির প্রাক্তন কর্তা! জেল হেফাজত শিক্ষিকার

সিআইডির একটি সূত্রে খবর, শেখ সিরাজউদ্দিনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের একটি নোটিসে অধ্যক্ষ হিসাবে সই করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৪
Share:

আদালতের পথে ধৃত শিক্ষিকা জেসমিন খাতুন। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আবার আদালতে তোলা হল শিক্ষিকা জেসমিন খাতুনকে। সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে ওই মামলায় যুক্ত প্রাক্তন দুই শিক্ষাকর্তা অলোককুমার সরকার এবং শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার পাশাপাশি শিক্ষিকা জেসমিনকে আদালতে তোলে সিআইডি। তবে জেসমিন গ্রেফতার হলেও তাঁর স্বামী শেখ সিরাজউদ্দিন যিনি এসএসএসির অন্যতম কর্তা ছিলেন তিনি এখনও অধরা। অন্য দিকে, এর মধ্যেই অধ্যক্ষ হিসাবে বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজে শেখ সিরাজউদ্দিনের সই করা একটি নোটিসকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। ওই তদন্ত চলাকালীন সিআইডি গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাই স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষিকা জেসমিনকে। অভিযোগ, জেসমিনের স্বামী স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান পদে থাকার সৌজন্যে প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি জেসমিনকে সিআইডি বাঁকুড়া জেলা আদালতে তুললে ৪ মার্চ পর্যন্ত তাঁর বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার জেসমিন ছাড়াও ওই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুই প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাকে আদালতে তোলে। সোমবার ওই তিন জনেরই ১৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত খবর, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এ পর্যন্ত সিআইডি মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু জেসমিনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তকে কেন এখনও সিআইডি গ্রেফতার করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাঁকুড়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী রথীনকুমার দে বলেন, ‘‘শেখ সিরাজউদ্দিন আগাম জামিনের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালত সেই আবেদন না-মঞ্জুর করে দেয়। তার পর তাঁকে সিআইডি কেন গ্রেফতার করেনি তা সিআইডি-ই বলতে পারবে।’’ সিআইডির একটি সূত্রে খবর, সিরাজউদ্দিনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের একটি নোটিসে অধ্যক্ষ হিসাবে সই করেছেন তিনি। তাতে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের ভার দিয়েছেন এক অধ্যাপককে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement