সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হল ধৃত তৃণমূল নেতাকে। নিজস্ব চিত্র
বগটুই-কাণ্ডে তাঁকে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রবিবার সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার সময় পুলিশ ভ্যান থেকেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। রবিবার দুপুরে থানা থেকে সিবিআই-এর অস্থায়ী দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় আনারুলকে।
পুলিশ ভ্যান থেকে ধরা গলায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিবিআই সিবিআই-এর কাজ করছে।’’তার পর বলেন, ‘‘এটা ষড়যন্ত্র। বিরোধী কিছু লোক আছে। তাদের ষড়যন্ত্র। টিভিতে বসে যারা এখন কথা বলছে, তারাও জড়িত।’’ যদিও নির্দিষ্ট করে কারও নাম করতে চাননি তিনি। তবে তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, তাঁর গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।
উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জানিয়েছিলেন যে, আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। অথবা তিনি আত্মসমর্পণ করুন। তার পর তারাপীঠ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলের দাবি, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। গত শুক্রবার আদালতে হাজির হন তিনি। সেখানে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। অন্য দিকে, আদালতে আনারুলের আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, ২২ মার্চের ঘটনার পরে দায়ের করা এফআইআরে আনারুলের নাম নেই। কিন্তু কোনও এক ‘চিফ’-এর নির্দেশে তড়িঘড়ি এই কাজ করা হয়। সেই সময় বিচারক আনারুলের আইনজীবীকে থামিয়ে বলেন, ‘‘এজলাসে রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’’
রবিবারই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তদন্ত প্রভাবিত করছে বিজেপি। একযোগে কাজ করছে সিবিআই ও বিজেপি। বগটুই-কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, ‘‘নিরপেক্ষ তদন্তের পদক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখন বিজেপি মামলা প্রভাবিত করছে।’’
ঘটনাচক্রে রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে অভিযোগ করেছেন, রামপুরহাট ঘটনার পিছনে গভীর ‘ষড়যন্ত্র’ আছে। তিনি বলেন, ‘‘রামপুরহাট-কাণ্ডের মাধ্যমে ডেউয়া-পাঁচামি প্রকল্প বন্ধের চেষ্টা হচ্ছে। যাতে কর্মসংস্থান করতে না পারে সরকার, এটাই বিরোধীদের উদ্দেশ্য।’’ তবে এটাও ঠিক যে, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি সেখানে। পাশাপাশি, দোষীদের শাস্তি হবেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।