মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটলেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুর স্টেডিয়ামে (বাঁ দিকে)। কেক কাটলেন কাজল শেখ। শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলায় (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
উপলক্ষ এক। আয়োজন ভিন্ন।
বিজয়া সম্মিলনীর মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উদ্যাপনেও রবিবার ভিন্ন মঞ্চে থাকলেন জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। দু’জনেই অবশ্য এ উপলক্ষে কেক কাটলেন। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
এ দিন জেলার নানা প্রান্তে মমতার জন্মদিন পালন করা হয়। এ দিন সকালে কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দেন কাজল, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ স্থানীয় নেতা, কর্মীরা। মন্দির চত্বরেই কেক কাটেন তাঁরা। কাজল বলেন,, “আমাদের বাংলার মায়ের আজ জন্মদিন। যিনি উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। উত্তপ্ত পাহাড়কে শান্ত করেছেন। সেই মায়ের জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে সতীপীঠ কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিলাম। একই সঙ্গে কঙ্কালীতলা অঞ্চলের কয়েক হাজার দুঃস্থ পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করলাম।”
অন্য দিকে এ দিন সন্ধ্যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল স্পোর্টস সেলের উদ্যোগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বোলপুর স্টেডিয়াম মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনে যান অনুব্রত। সেই প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই কেক কেটে মমতার জন্মদিন পালন করেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ-সহ দলের নেতা, কর্মীরা।
অনুব্রত বলেন, “আজ মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন আমরা পালন করেছি। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘজীবী হোন। উনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েই থাকুন।”
এ নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “এরা যতই মুখে একসঙ্গে চলার বার্তা দিক, এরা কখনই এক হবে না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষও বলেন, “ওদের উপর থেকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিলেও যেহেতু ওদের লড়াইটা মতাদর্শের লড়াই নয়, তাই ওরা কখনই এক হাতে পারবে না।”
অন্য দিকে একই উপলক্ষে হেতমপুর দক্ষিণা কালীতলা সংলগ্ন মাঠে দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। এ দিন ১৫৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়।