অনুব্রতের ‘কাছের লোক’ বলে পরিচিত বিপ্লবের দাবি, দলে তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। —নিজস্ব চিত্র।
দলের কাছে আজ তিনি ব্রাত্য। প্রায় এক বছর হল দলীয় নেতৃত্বের কেউ তাঁর খোঁজ খবর রাখেন না। এই অভিমান এবং ক্ষোভে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। মঙ্গলবার দলের বিরুদ্ধে নিজের অভিমানের কথা উগরে দিলেন বিপ্লব।
বীরভূমে তিনি পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবে। কিন্তু দল নাকি তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে। এই ভাবে বেশি দিন দল করা যায় না বলে দাবি করে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন বিপ্লব।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। জেলে থেকেও নেতাকর্মীদের একতার বার্তা দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে দল থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিপ্লব। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন বিপ্লব। সেই সময় তিনি ছিলেন নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর দলবদলের পর নলহাটি পুরসভার পরিচালন ক্ষমতাও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের হাতে চলে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তার পর ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভায় উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন বিপ্লব। পরবর্তীকালে তাঁকে সংগঠনের কাজে লাগায় তৃণমূল। জেলা সহ-সভাপতি করা হয় তাঁকে। একাধারে জেলা পরিষদের সদস্য পদেও রয়েছেন বিপ্লব।
দল ছাড়ার আগে বিপ্লবের ঘোষণা, ‘‘আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে ভীষণ দুঃখের। তবু নিতে হচ্ছে। আমি ২০০৯ সাল থেকে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলছি, আমি দল ছাড়ছি। এর পিছনে অনেক কারণ আছে।’’
এর পর দল ছাড়ার কারণের কথা বলতে শুরু করেন বিপ্লব। বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাছে আমার আর কোনও মূল্য কিংবা গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলীয় কর্মসূচি, বৈঠক— কোথাও আমাকে আমন্ত্রণ করা হয় না। আমার অনেক অনুগামী আছেন। শুভাকাঙ্খী আছেন। তাঁরা এ নিয়ে আমায় প্রশ্ন করেন। কিন্তু আমার কাছে এর সঠিক উত্তর নেই।’’ অসম্মানিত হয়েই তিনি তৃণমূল ছাড়লেন বলে জানান বিপ্লব।