মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে গ্রামের পুজোয় অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
গত দু’বছর ঠাকুর দেখা হয়নি। অংশ নিতে পারেননি পুজোয়। তিহাড় থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে দু’বছর পর আবার গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজোয় অংশ নিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ছিলেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। তবে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হল না কেষ্টর। দূর থেকে প্রণাম জানালেন দুর্গাকে। জানালেন, অশৌচ চলছে তাঁর।
শুক্রবার নবমীর দিন গ্রামের পুজোয় কেষ্ট যেতেই তাঁকে ঘিরে উপচে পড়েছিল গ্রামবাসীদের ভিড়। সকলের সঙ্গেই কথা বলেন অনুব্রত। কন্যাকে নিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ মণ্ডপের বাইরে চেয়ারে বসেন। দেখেন ঢাক বাজানো। তবে মন্দিরে ওঠেননি তৃণমূল নেতা। দূরে দাঁড়িয়েই প্রণাম করে অনুব্রত বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে গ্রামের পুজোয় এসে। কিন্তু মন্দিরে উঠতে পারব না। অঞ্জলিও দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো, তাই। বাইরে থেকেই প্রণাম জানালাম দেবী দুর্গাকে।’’
প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামের বাড়িতে কাটান অনুব্রত। অন্য কোথাও থাকার কথা ভাবতেও পারতেন না তিনি। কিন্তু গত দু’বছর অনুব্রতকে ছাড়াই সেই পুজো হয়েছে। গরু পাচার মামলায় প্রায় দু’বছর জেলবন্দি থাকার পর গত মাসে জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন মেয়ে সুকন্যাও। তার পর বাইরে বিশেষ দেখা যায়নি তৃণমূল নেতাকে। বরং কঙ্কালীতলার মন্দির-দর্শন থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা যাত্রা— সবেতেই মেয়েকে সঙ্গে নিয়েছেন কেষ্ট। এ বার পুজোতেও মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন। উঠেছেন গ্রামের বাড়িতে।
অনেক দিন পর খোশমেজাজে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তিনি বলেন, ‘‘এ বার পুজো তো রাত্রে। পুজো খুব ভাল কাটাচ্ছি। ফাইন লাগছে।’’ তৃণমূল নেতা জানালেন আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবেন। ইতিমধ্যেই ফেসবুক পেজেও সক্রিয় হয়েছেন তিনি।