— ফাইল চিত্র।
কোথাও বরাদ্দ টাকায় কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। কোথাও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরির টাকা না পাওয়ার নালিশ উঠেছে। অভিযোগ, শাসক দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তা নিয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযুক্ত নেতারা অবশ্য সে কথা মানেননি। নানুরের কীর্ণাহার ২ পঞ্চায়েতের মাধপুরের বাসিন্দারা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। বিডিও অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নথিতে ওই গ্রামে ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সিমেন্টের মাঠনালা তৈরি, রথতলায় জমি সমতলীকরণের উল্লেখ রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দু’টি প্রকল্পেই কাজ না করে টাকা লোপাট করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, শুধু ওই দু’টি প্রকল্প নয়, আরও পাঁচটি প্রকল্পে কোথাও সামান্য কাজ করিয়ে, কোথাও কোনও কাজ না করিয়েই টাকা লোপাট করেছেন তৃণমূলের নেতারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন বলেন, ‘‘অনেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে প্রাপ্য টাকা পায়নি। তৃণমূলের নেতারা হুমকি দিয়ে টাকা কেটে নিয়েছেন।’’
গ্রামবাসীরা এ নিয়ে তৃণমূল অঞ্চল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা তথা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নন্দিতা মণ্ডল, পঞ্চায়েত প্রধান মন্দিরা হাজরার স্বামী প্রসেনজিৎ হাজরা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎবাবু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে বিজেপি কিছু মানুষকে প্ররোচিত করে আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।’’ একই মন্তব্য মন্দিরাদেবীর। তিনি বলেন, ‘‘ওই সব প্রকল্পেই যথাযথ কাজ হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
প্ররোচনার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির নানুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এখন বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে বিজেপির প্ররোচনার ভুত দেখছেন। আমরা কাউকেই কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না। তবে প্রতারিত মানুষের পাশে রয়েছি।’’ নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’’