জোরকদমে চলছে প্রচার। —প্রতীকী ছবি।
কখনও সভা, কখনও জনসংযোগ—মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে কোনও খামতি রাখছেন না তালড্যাংরা উপনির্বাচনের প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে তত প্রচারের গতি বাড়াচ্ছেন প্রত্যেক দলের প্রার্থী। প্রচারের ফাঁকে প্রতিপক্ষকে বিঁধতেও ছাড়ছেন না অনেকে।
মঙ্গলবার সকালে তালড্যাংরার ফুলমতি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ, প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। বিকেলের দিকে পথসভা করেন হাড়মাসড়া পঞ্চায়েতের পুখুরিয়া, কদমা ও খিচকায়। সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব।
দিনভর প্রচারে ব্যস্ত সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মহান্তি। এ দিন সকালে হাড়মাসড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে জনসংযোগ সারেন।
বিকেলে তাঁর সমর্থনে সিমলাপালের দুবরাজপুর ও তালড্যাংরার মার্কেট কমপ্লেক্সে জনসভা করেছেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় সভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। তালড্যাংরার সভায় ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বালি চুরির কারবার চালানোর অভিযোগ আনেন অমিয়। বলেন, “তালড্যাংরা থেকে সারা রাত ট্র্যাক্টরে করে বালি ওঠে। সরকার রাজস্ব পায় না, সেই বালি চুরির টাকায় এলাকার কারও কারও পেট মোটা হচ্ছে।” যদিও সিপিএমের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন তালড্যাংরা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তারাশঙ্কর রায়।
অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী জনসংযোগের মাধ্যমে এ দিন প্রচার সারেন তালড্যাংরা ও সিমলাপালের বিভিন্ন এলাকায়। বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী গিয়েছিলেন সিমলাপালের বিভিন্ন গ্রামে।