Alapani Women Committee

ঘর ফেরানো হোক, চায় আলাপিনী

১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথের প্রেরণায় শান্তিনিকেতন আশ্রমের মহিলাদের নিয়ে এই আলাপিনী মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সমিতির নামকরণ করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৯
Share:

শান্তিনিকেতনে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে আলাপিনী মহিলা সমিতির অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।

রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে রবিবার বিকেলে আলাপিনী মহিলা সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস ও গান্ধীর প্রয়াণ দিবস বিষয়ক একটি সভা। নিজেদের ঘর ফিরিয়ে দাওয়ার দাবিও এ দিন তুলেছে সমিতি।

Advertisement

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন আলাপিনী মহিলা মহিলা সমিতির সঙ্গে শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীর ‘সংঘাত’। তার জেরে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন সমিতিকে। এ দিনের সভা থেকে ফের সেই ঘর তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন সমিতির সদস্যরা। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আলাপিনী মহিলা সমিতির সহ-সম্পাদিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যতম সদস্যা শর্মিলা রায় পোমো, শ্যামলী মুখোপাধ্যায়, লিলি রায়, কাকলি সেন প্রমুখ।

১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথের প্রেরণায় শান্তিনিকেতন আশ্রমের মহিলাদের নিয়ে এই আলাপিনী মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সমিতির নামকরণ করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথম দিকে প্রতিমা দেবী, দ্বিজেন্দ্রনাথের পত্নী কিরণমালা দেবী ও পুত্রবধূ হেমলতা দেবী ছিলেন সমিতির প্রধান। পরবর্তী কালে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মা প্রয়াত অমিতা সেন দীর্ঘদিন এই আলাপিনী মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন।

Advertisement

মূলত শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সামাজিক কাজকর্মেও যুক্ত থেকেছেন এই মহিলা সমিতির সদস্যরা। আনন্দ পাঠশালা সংলগ্ন নতুন বাড়িতে প্রতি মাসে দু’বার অধিবেশন ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হতো সমিতির তরফে।

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে নোটিস জারি করে ২০২১ সালের প্রথম দিনেই সেই ঘর থেকে তাদের উৎখাত করে দেন। এরপর বহু আন্দোলন, প্রতিবাদ হলেও সমিতি সেই ঘর এখনও ফেরত পায়নি। তাই বাধ্য হয়ে যাবতীয় অনুষ্ঠান গত তিন বছর ধরে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা গেটের সামনের রাস্তায় করে এসেছেন সমিতির সদস্যারা।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী শান্তিনিকেতন থেকে বিদায় নিতে ফের ঘর ফিরে পাওয়া নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন সমিতির সদস্যারা। এ দিনের সভায় গান, আবৃতির পাশাপাশি বক্তব্যের মধ্য দিয়েও সেই ঘর ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

মহিলা সমিতির সহ-সম্পাদিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অন্য অনুষ্ঠানের মতো প্রজাতন্ত্র দিবস ও গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবসকে স্মরণ করে এই অনুষ্ঠান ও সভার আয়োজন করেছিলাম। প্রাক্তন উপাচার্যের আমলে যে ঘর থেকে আমাদের উৎখাত করে দেওয়া হয়েছিল আমরা আশা করছি বর্তমান কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন এবং সেই ঘর আবার আমাদের ফিরিয়ে দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement