বোলপুরে বাইক মিছিলে সুকান্ত। নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত-হীন বীরভূম দখলে তাই মরিয়া বিজেপি। জেলায় পর পর রাজনৈতিক সভা-মিছিল করছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বোলপুরে জনসভা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্য দিকে, তারাপীঠে মিছিল করেন বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। তবে তৃণমূলের খোঁচা, বীরভূমে শূন্য ছিল, শূন্যই থাকতে হবে বিজেপিকে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর বীরভূম জুড়ে শুরু হয়েছিল তৃণমূলে ‘যোগদান মেলা’। তৃণমূলে যোগ দিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেছেন বিজেপিকর্মীরা— এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে। সেই বিজেপি এ বার অনুব্রতের গ্রেফতারির পর যেন আলাদা করে অক্সিজেন পেয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে পর পর কর্মসূচিও রেখেছে তারা।
বোলপুরে মিছিল করেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বীরভূম জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। মিছিল শেষে বোলপুরের জনসভা থেকে অনুব্রতকে আক্রমণ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত ও তাঁর কাছের মানুষদের থেকে ১৬ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এগুলো সবই সাধারণ মানুষের টাকা।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই অনুব্রতকেই সমর্থন করেছে পিসিমণি! অনুব্রত যা করেন দিদিকে জিজ্ঞেস করে করেন। তা হলে এই কাজও তিনি নিশ্চয়ই দিদিকে জিজ্ঞেস করেই করেছেন। খুব শীঘ্রই কালীঘাটও ভিতরে যাবে। ২০২৪ সালের আগে এই সরকার পড়ে যাবে।’’
তারাপীঠে মিছিল থেকে রাজ্য বিজেপি যুব সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্বের একাংশ। তাঁরাও বিজেপিকর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপির এই পর পর মিছিল-সমাবেশ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছে তৃণমূল।
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রচার করে অনুব্রতের বীরভূমকে দখল করা যায় না। যাবেও না। বীরভূম তৃণমূলের ছিল, তৃণমূলেরই থাকবে। বিজেপি শূন্য ছিল, আগামী পঞ্চায়েত ভোটেও শূন্য থাকবে।’’