পুলিশের জালে বাবা ও ছেলে। — নিজস্ব চিত্র।
হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল একটি ছাগলের। আর সেই রাগ গিয়ে পড়ল পথকুকুরদের উপর। মৃত ছাগলের শরীরে বিষ মিশিয়ে বেশ কয়েকটি পথকুকুরকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল বাবা এবং ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার বনমুখ গ্রামের। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে কোতুলপুর থানার পুলিশ। বিষক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি কুকুর অসুস্থ। সেগুলির চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
বনমুখের বাসিন্দা স্বপন পাল এবং অশোক পাল চাষাবাদের পাশাপাশি ছাগল পালন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁদের একটি ছাগল কোনও প্রাণীর হানায় গুরুতর জখম হয়। পরে ছাগলটির মৃত্যু হয়। এর পর স্বপন এবং অশোক মৃত ছাগলের শরীরে বিষ ঢেলে সেটা রেখে দেন বলে অভিযোগ। গ্রামের পথকুকুরগুলি মৃত ছাগলের শরীর থেকে মাংস খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার রাতে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় মোট পাঁচটি কুকুরের। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও সাতটি কুকুর।
এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ফিরোজ মোল্লা নামের এক স্থানীয় এক পশুপ্রেমী কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। এর পর পুলিশ স্বপন এবং অশোককে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত দুই অভিযুক্তকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগকারী ফিরোজ বলেন, ‘‘এটা নৃশংস ঘটনা। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনার নজির নেই। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কুতুবউদ্দিন খান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করি। কোতুলপুর থানার পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। তার পরই দু’জনকেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত স্বপন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা বিষপ্রয়োগ করিনি। কুকুর মেরে ফেলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।’’