প্রায় ১৬ কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তোলা হয় এই ফার্মটি। তবে ফার্মটি তৈরি স্বত্বেও থমকে গেছে শুয়োর পালনের কাজ।
আদিবাসীদের রোজগার বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত প্রকল্প রাজ্য সরকার শুরু করেছে তাঁর মধ্যে ‘পিগ ফার্ম’ অন্যতম । আদিবাসী সমাজের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকার যে শুয়োর পালনের প্রকল্প শুরু করেছে তাঁর একটি রয়েছে বীরভূমের মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লাকর গ্রামে।
প্রায় ১৬ কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তোলা হয় এই ফার্মটি। তবে ফার্মটি তৈরি স্বত্বেও থমকে গেছে শুয়োর পালনের কাজ। হয়নি কারওর কর্মসংস্থান। সেই সময়ে ওই এলাকার বিধায়ক নূরে আলম চৌধুরী ছিলেন রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী। এই দফতর থেকেই ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল পিগ ফার্মের জন্য । আদিবাসী সমাজের কর্মসংস্থানের স্বার্থে ফার্মটি তৈরী হলেও এখনও পর্যন্ত আদিবাসীদের কাজই জোটেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বাড়িতে গিয়ে শোকজ্ঞাপন মমতার
আদিবাসী সমাজের অভিযোগ, ফার্ম গড়ে তোলার সময় প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একশো জন কাজ পাবেন, কিন্তু এখনও কাজ পায়নি কেউই। এই অভিযোগ করার পাশাপাশি স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকারি অবহেলাতেই কাজ শুরু হয়নি পিগ ফার্মের । এলাকার বর্তমান বিধায়ক আব্দুর রহমান জানান, ‘‘কাজ শুরু না হওয়ার কারণ এই করোনা পরিস্থিতি। ফার্ম যাতে দ্রুত চালু হয় তাঁর চেষ্টা করব।’’
আরও পড়ুন: মোদীর ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে ‘অতি উদ্যোগী’কেন্দ্র, তিরস্কার করেও ছাড়পত্র শীর্ষ আদালতের